রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫

রিকশাচিত্র শিল্পীদের সংবর্ধনা দিলো বাংলা একাডেমি

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) কর্তৃক ঢাকা শহরের ‘রিকশা ও রিকশাচিত্র’ অন্তর্ভুক্তি ও স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশাচিত্র শিল্পীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলা একাডেমি।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগ এ সংবর্ধনা প্রদান করে। এতে দেশের বিভিন্ন জেলার ১১১ জন রিকশাচিত্র শিল্পীকে সার্টিফিকেট ও সম্মানসূক চাদর পরিয়ে দেয়া হয়।

চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ রিকশাচিত্র শিল্পীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এনিমেল পেইন্ট দিয়ে সাধারণত চিত্র আঁকা হয় না। আমাদের রিকশাচিত্র শিল্পীরা এই অসাধ্য ও ব্যতিক্রমী কাজটি করে যাচ্ছেন। আমি অনুরোধ করব, তারা যাতে এটি বজায় রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরো ক্যাটালগটি যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছি; দেখি, উনি রিকশাপেইন্টার ও তাদের ইতিহাসসহ সবই জানেন। করোনার সময় প্রায় ৭০ জন চিত্রশিল্পীকে প্রণোদনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, রিকশাচিত্রের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি একবারে লোকস্তর থেকে উঠে এসেছে। এর বুননও অপরিমেয় সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

মহাপরিচালক বলেন, যারা রিকশা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত, তারা কোনো আর্ট স্কুলে পড়াশোনা করেননি। হয়তো বাবার সঙ্গে করতে করতে ছেলে শিখেছেন। এভাবে একটি বংশ তৈরি হয়েছে। তারাই দেশের রিকশাগুলোয় চিত্র আঁকেন।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, রিকশাচিত্র একটি অন্যরকম দিক। এই স্বীকৃতি একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। শিল্পীর এই শিল্পের মাধ্যমে আমরা সব শিল্পকে নতুন করে দেখব বলে আশা করেন তিনি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানার পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান, বাংলা একাডেমির অতিরিক্ত সচিব ড. মো. হাসান কবীরসহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *