শনিবার, ডিসেম্বর ৭

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে খুচরায় সাড়ে ৮, পাইকারিতে ৫ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর

বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ছে। নতুন দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। দাম বাড়িয়ে বৃহস্পতিবারই (২৯ ফেব্রুয়ারি) গেজেট জারি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকিতে ডলারের তারতম্যটাই মূল বিষয়। গ্যাসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এবার বিদ্যুতের ভর্তুকি গিয়ে দাঁড়াবে ৪৩ হাজার কোটি টাকায়। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাম সমন্বয়ে যেতে হবে। জ্বালানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। আমরা ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে মূল্য সমন্বয়ে যাবো।

নিচের দিকে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৪ পয়সা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওপরের দিকে ৭০ পয়সা বাড়বে। অর্থাৎ নিচের দিকে ৫ শতাংশ বাড়বে। ওপরের দিকে সাড়ে ৮ শতাংশের মতো। মাসের শেষে হয়তো ১০০ টাকায় ৫ থেকে ৮ টাকা বাড়তে পারে।

‘আমাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ টাকা, ডলারের দামের তারতম্যের কারণে। ৭ থেকে ৮ টাকা ছিল এটা। আমরা গড়ে প্রতি ইউনিট বিক্রি করছি ৭ টাকায়। সমন্বয়টা উপরের দিকে বেশি করছি, নিচের দিকে কম করছি।

বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কারণে প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের কথায় মনে হচ্ছে অত বেশি পরিবর্তন ঘটবে না। খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, ডায়নামিক প্রাইসে তেলের দাম নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পহেলা মার্চ থেকে সেটি কার্যকর করা শুরু হবে। আর বিদ্যুতের দাম যেটা বেড়েছে, সেটা পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জ্বালানির দাম সমন্বয় করেছি বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে দামে গ্যাস নিতো, সেখানে আমরা ৭০ পয়সার মতো সমন্বয় করেছি। আর তেলের দামও ডায়নামিক প্রাইসে নির্ধারণ করা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা, তেল ও গ্যাসসহ জ্বালানি আমরা যে দামে কিনতাম, সেখানে একটা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরে মারাত্মকভাবে এ পরিবর্তন এসেছে। যে কারণে ডলারের সঙ্গে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার চিন্তাভাবনা করছিলাম। জ্বালানির ব্যাপারে একটা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। যেটা পহেলা মার্চ থেকে শুরু হবে। কাল-পরশুর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

‘ডায়নামিক প্রাইস বলতে, বিশ্বে যদি জ্বালানির দাম বাড়ে, তাহলে আমাদের দেশেও সেটার সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়বে, বিশ্বে যদি কমে, আমাদের দেশেও কমবে। আর এটা প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে করা হবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ প্রতিদিন এটা করে। যেমন, কলকাতার কথা যদি বলি, সেখানে এক লিটার ডিজেলের দাম ১৩৩ টাকা। আমাদের দেশে ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভাবে গ্যাসের দামও ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হচ্ছে আমাদের। গ্যাস আমদানি সহনীয় পর্যায়ে। আমরা যদি গ্যাসের সঙ্গে যদি মিক্সড করি, তাহলে ২৪ টাকার ওপরে পড়ে যায়। এ গ্যাস সারকে দিচ্ছি ১৬ টাকা রেটে, বিদ্যুতকে দিচ্ছি ১৪ টাকা রেটে। যে কারণে গ্যাসের দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *