রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫

বিএসসি’র শেষ পরীক্ষা দিন ইউআইটিএস’র শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসানের অনুভূতি প্রকাশ

বিএসসি প্রোগ্রামের শেষ পরীক্ষা দিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস’র শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হাসান। তিনি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। সদ্য বিএসসি প্রোগ্রামের থিসিস ডিফেন্স শেষ করে “আলোকিত নাবা”র সাথে কথা বলেছেন জুবায়ের।

.

জুবায়ের হাসান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান-১ম পত্র পরীক্ষাটা একটু খারাপ হওয়ায় ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেই যে ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রিপারেশন নেবো না। সেই অনুযায়ী মেডিকোতে ভর্তি হই মেডিকেল কোচিং করার জন্য। ভালো মতোই চলছিলো কোচিং, পড়াশোনা; কিন্তু মেডিকেল পরীক্ষার ঠিক কিছুদিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হই। আবার হোঁচট খেতে হয়, সিদ্ধান্ত নিতে হয় মেডিকেল হচ্ছে না। কিন্তু সময় নষ্ট করার মানসিকতা আমার ছিলো না।

ছোট থাকতে শুনতাম কম্পিউটার সাইন্স/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এইরকম কিছু শব্দ না বুঝেও ভাবতাম যদি হতে পারতাম! তাই আর সরকারি/বেসরকারি কোনো চিন্তা না করে ২০ জানুয়ারি, ২০২০ খ্রি. ঢুকে পড়লাম UITS এর “কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং” বিভাগে। শুরু হয়ে গেলো নতুন অধ্যায়।

কিন্তু এই অধ্যায় মোটেও সহজ ছিলো না। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক সব ধরনের সমস্যারই সম্মুখীন হতে হইছে এই জার্নিতে আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় অসুস্থ হওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা অনেকবারই হয়েছিলো, তাই শেষ দিনও হয়তো কিছুটা অসুস্থতার সাথেই পরীক্ষা দিতে হলো। এখন সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া, সব বাধা-বিপত্তি পেড়িয়ে ইউআইটিএস থেকে বিএসসি’র জার্নিটা শেষ করতে পারার জন্য।

.

জুবায়ের হাসান জীবনের সোনালী অধ্যায়ের চারটি বছর যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাটিয়েছেন, তার স্মৃতি ধরে রাখা জন্য তার বিভাগসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুদের সাথে নিয়ে ছবি তোলেন। নিজেকে ফ্রেমবন্দী করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম, নিজ বিভাগের প্রধান আল ইমতিয়াজ, সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস আনাম জীবন-সহ উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দের সাথে ছবি তুলে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখেন। এছাড়াও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন অনুপস্থিত কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষককে, খুব সহজেই যাদের কাছে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা পেত।

জুবায়ের বলেন, ছবিতে না থাকলেও আরো কয়েকজন ফ্যাকাল্টি ছিলেন, যারা আমার ইউনিভার্সিটি জীবনের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে তাদের থেকে পরামর্শ নিতে পারতাম। ধন্যবাদ আপনাদেরকে Md. Mahmodul Hasan স্যার, Uchswas Paul স্যার, Khalid Mahbub Khan স্যার, সালিম শাদমান অংকুর স্যার, Md Yasin Ali স্যার (Most dedicated teacher)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *