শনিবার, ডিসেম্বর ৭

নানা কর্মসূচিতে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচিতে উদযাপন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪। আজ রবিবার (১৭ মার্চ ২০২৪) দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী, দোয়া অনুষ্ঠান এবং কেক কাটা।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির শুরু করেন।
এ সময় অন্যদের মাঝে স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী, রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আবু ইউসুফ, জনসংযোগ ও ছাত্র বিষয়ক বিভাগের সহকারী পরিচালক রফিকুল আমীন খান, সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, প্রশাসনিক কমকর্তা মুহাম্মদ আরিফ হোসেন ও মো. নেসারউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে গুলশান ক্যাম্পাসে শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় পতাকা’ এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

বিকালে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম এতে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন।

রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন মানেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নবোনার দিন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার এক প্রত্যয়ের দিন।

দায়িত্বশীলতাই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতায় পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কৈশোরেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই নিজের স্কুলের ছাদ সংস্কারের দাবি তোলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নিকট। এই দায়িত্বশীলতাই তাঁকে জাতির পিতায় পরিণত করেছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর এই দায়িত্বশীলতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

সবশেষে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লালকুঠি মোহাম্মদি দরবারের পীর ড. আহসানুল হাদী।

অনুষ্ঠানে ইফতার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং বঙ্গববন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

ইফতারের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে কেক কাটার মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *