যশোরের বেনাপোল সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ মশিয়ার রহমান (৫৫) নামে এক পাচারকারীর লাশ উদ্ধার করেছেন বিজিবি সদস্যরা। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৫ কেজি ২০০ গ্রাম।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সীমান্তের অগ্রভুলোট এলাকার নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত মশিউর রহমান শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে। তিনি গত চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ দুপুরে মশিয়ার রহমানকে তার বাড়ি থেকে রহিম ও জমাল নামে দু’ব্যক্তি ডেকে নিয়ে যায়। তার এক ঘণ্টা পর রহিমের ছেলে তাদেরকে খবর দেয় মশিয়ার রহমান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা ইছামতি নদীতে ডুবে গেছেন। তারপর তারা বিষয়টি বিজিবিকে জানান। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বয় করে ইছামতি নদীতে খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জানা যায় যে ইছামতি নদীতে মরদেহ ভাসছে। পরে তারা সেখানে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। পরে বিজিবি ও পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জনান, অগ্রভুলোট সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে পাঁচ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ মশিয়ার রহমান নামে এক স্বর্ণ পাচারকারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য পাঁচ কোটি ১০ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, স্বর্ণসহ ইছামতি নদী থেকে মশিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।