রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সরকার কোস্ট গার্ডের আধুনিকায়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এ বাহিনীর যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের জলসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর সদস্যরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা।
১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের সমুদ্রচারী ও উপকূলীয় জনগণের কাছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড একটি অতি পরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম। উপকূলীয় অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ, মাদকের বিস্তার রোধসহ সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় এ বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে কোস্ট গার্ডের বলিষ্ঠ ভূমিকার ফলে বিগত বছরে চুরির ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক অবদান রাখছে। এছাড়া দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণ ও সমুদ্রে সরকার ঘোষিত মৎস্য অভয়ারণ্য বাস্তবায়নেও কোস্ট গার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।