রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫

হজযাত্রীর মাধ্যমে জর্দ্দা পাঠাচ্ছে এজেন্সি, মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

হজ ফ্লাইটের যাত্রা শুরুর আগে সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করছে না এজেন্সিগুলো। এতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হজযাত্রীরা।

এছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জর্দ্দার কার্টুন পাঠানোরও অভিযোগ উঠেছে হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে।

এ অবস্থায় সোমবার (১৩ মে) হজ এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব হজ এজেন্সির অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে এরইমধ্যে সংঘটিত কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘানাম ১২ মে বিকেলে বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সির অংশগ্রহণে জুম প্ল্যাটফর্ম সভায় অংশ্রগহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোর ‘ফ্লাইট ডাটা’ সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়, এজেন্সিগুলো নিয়মিত ও সঠিকভাবে হজ ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না। ফলে কত নম্বর ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছেন, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী, কোন হোটেল/বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ সব তথ্য ফ্লাইট পৌঁছার পূর্বে না পাওয়ায় সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের জন্য বাস ও লাগেজ পরিবহনের জন্য ট্রাক প্রস্তুত করতে পারছে না। মোয়াল্লেমের লোক সংশ্লিষ্ট হোটেল/বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এতে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না। ফলে রোড-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সভায় এখন হতে প্রতিটি ফ্লাইটের যাত্রা শুরুর আগে সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

এছাড়াও আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ এসেছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কয়েকটি এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দ্দার কার্টুন পাঠাচ্ছেন, যা জেদ্দা বিমান বন্দরে আটক করা হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এজেন্সি হজযাত্রীদের পাঠাচ্ছেন সঙ্গে হজ গাইড বা এজেন্সির প্রতিনিধি থাকছে না। ফলে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। হজযাত্রীদের আগমনের বিষয়টি সার্ভিস কোম্পানিকে ভালোভাবে অবহিত না করার কারণে বাড়ি/হোটেলে মোয়াল্লেমের অভ্যর্থনাকারী টিম উপস্থিত থাকছে না। এতে হজযাত্রীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এজেন্সির সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত একাধিক সভায় ও হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কুরবানি হজযাত্রী তার ইচ্ছেমত সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনভাবেই এ বাবদ কোন টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *