শনিবার, ডিসেম্বর ৭

নেকাব পরেই ভাইভা দেবেন ইবির সেই ছাত্রী, নতুন তারিখ নির্ধারণ

সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত খবর- নেকাব না খোলায় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নারী শিক্ষার্থী। গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) এমনটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে দুই দফায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে ফের ওই ছাত্রীর ভাইভা নেয়ার ব্যবস্থা করেছে বিভাগটি। আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এই ভাইভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তিনি নেকাব না খুলেই ভাইভায় অংশ নিতে পারবেন। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিসির নির্দেশে ২৩ জানুয়ারি তাকে ভাইভার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার ক্যাম্পাসে আসতে দেরি হওয়ায় আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ভাইভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, ম্যাম ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে আগামী শনিবার ভাইভার জন্য যেতে বলেছেন। শনিবার আমি ভাইভা দিতে যাব।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম বর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভায় এক নারী শিক্ষার্থী নেকাব পরে অংশগ্রহণ করেন। ভাইভা বোর্ডে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা লুনা ও বিভাগের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। তবে ওই ছাত্রী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন।

ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা তাদের সামনেই ওই ছাত্রীকে নেকাব খুলতে বলেন। তবে তিনি নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে, তার ভাইভা নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ২১ ও ২২ জানুয়ারি দুই দফায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি ও কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ওই ছাত্রীর ফের ভাইভা নেয়াসহ ক্যাম্পাসে স্ব স্ব ধর্ম পালনে স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *