বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯

অভিমত

বাংলাদেশে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা
অভিমত, ধর্ম ও দর্শন, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী), সর্বশেষ

বাংলাদেশে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা

|| ড. আবু তুরাব মুশতাক আহমাদ ||ভূমিকা: মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদ ইসলামী সমাজের প্রাণকেন্দ্র ও একটি পবিত্রতম স্থান। মসজিদ ছাড়া মুসলিম সমাজ কল্পনাও করা যায় না। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় মসজিদ একাধারে ইবাদাত-বন্দেগীর স্থান, সামাজিক ও ধর্মীয় মিলনায়তন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিচার ও সম্প্রীতি লেন-দেনের মিডিয়া, নেতৃত্ব ও আনুগত্যের সূতিকাগার। মসজিদকে আদর্শ ইসলামী সমাজের হৃৎপিণ্ডও বলা যায়। আল্লাহ তা‘আলার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় স্থান মসজিদ। মদিনায় হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ স. এর ধর্মীয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো মসজিদ থেকে। রাসুলুল্লাহ স. এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন পরবর্তী খলীফাগণ।ইসলামের প্রথম যুগের মসজিদের দিকে আমরা যদি দৃষ্টিপাত করি, তাহলে দেখতে পাব, সেই সময়ের মসজিদ শুধু নামাযের ঘর ছিল না; বরং তাদের মসজিদ ছিল পরামর্শগৃহ, বিচারালয়, শিক্ষাকেন্দ্র, মজলুমের আশ্রয়স্থল, শিশুদ...
উন্নয়নে নীরব অংশীদার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
অভিমত, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, সর্বশেষ, সারাদেশ

উন্নয়নে নীরব অংশীদার রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

|| বাপি সাহা ||অনেকটা বিরোধীতার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণঞ্চলের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি। রাজনীতির বেড়াজালে পড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেকটা জটিল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল যাকে অনেকটা অতিক্রম করে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি আলোরমুখ দেখে।বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি। রামপালে ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB) ১৩২০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প এটি। বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মিত হয়েছে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার উত্তরে। সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদী ঘেঁষে এই প্রকল্পের ১৮৩৪ একর জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে এই বৃহৎকর্মযজ্ঞের ...
মাদকাসক্তি সামাজিক ব্যাধি: প্রতিকারে করণীয়
অভিমত, সর্বশেষ, স্বাস্থ্য

মাদকাসক্তি সামাজিক ব্যাধি: প্রতিকারে করণীয়

|| ডা. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ খান ||মাদক দ্রব্যের ব্যবহার বর্তমান বিশ্বের একটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। মাদকাসক্তির কারণে দেশের যুবসমাজ তথা যুবশক্তি দ্রুত ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলছে। মাদকদ্রব্য মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনে। মানুষের দৈহিক সুস্থতা, নৈতিকতা ধ্বংস করে যুব সমাজকে অধঃপতনের মুখ ঠেলে দিচ্ছে। তাই, মাদকদ্রব্য সমাজ ও জাতির জন্য বিষাক্ত বিষবাষ্প।আমাদের দেশে প্রচলিত মাদকদ্রব্যগুলো হলো- গাঁজা, ভাঙ, আফিম, তাড়ী, মদ, ঘুমের ঔষধ, হেরোইন, বুপ্রেরনফিন, পেথিডিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি। এই সকল মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি বা এর ওপর নির্ভরশীলতাই মাদকাসক্তি। মাদকাসক্তি এমন একটি মারাত্মক অবস্থা যেখানে ব্যবহৃত দ্রব্যের প্রতি ব্যবহারকারীর শারীরিক ও মানসিক নির্ভরশীলতার জন্ম নেয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহারের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যায় এবং মাদক গ্রহণ না করলে শরীরে ব্যথা, মাংসপেশীর খিঁচুনী, অস্থিরতা, বমি-বমি ভাব, সর্দি, কোষ...
পরকীয়া একটি সংক্রামক মহামারী
অভিমত, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী), সর্বশেষ

পরকীয়া একটি সংক্রামক মহামারী

|| মোস্তাফিজুর রহমান ||পরকীয়া একটি সামাজিক ব্যাধি। বাঁধভাঙ্গা মহামারি আকারে সংক্রমিত হচ্ছে। সকল বয়স পেশা শ্রেণির মানুষের মাঝে পরকীয়ার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে। জাতি ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠী পেশার কোনো ভেদাভেদ নাই, যে যার মত করছে। যুবক যুবতীরা যৌবনকালে আক্রান্ত হলে তাকে বলে প্রেম, মহব্বত, পিয়ার, ভালোবাসা, গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড পার্টনারশিপ, বেড পাটনার, গেট টুগেদার, ইত্যাদি। শুধু তাই নয় প্রেম/পরকীয়ার জালে আটকা পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর জন্য নারী-পুরুষ চলে আসছে।ছোট বড় পর্দার নায়ক-নায়িকা এবং হলিউড-বলিউডের তারকাদের এ ব্যাপারে বিমান ভাড়া যাতায়াত সবকিছু ফ্রি করে দেয়া হয় অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য, এ যেন আধুনিকতার মাতাল হাওয়া।বিবাহিত নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে সংঘটিত লালসা ...
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব
অভিমত, শিক্ষা ও সাহিত্য (প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, জীবনী), সর্বশেষ

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জনের গুরুত্ব

|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||দুনিয়াবী দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের জন্য সাধারণ শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একজন মানুষের শুধুমাত্র একটি ভালো চাকরি, ভালো একটা পজিশনই সবকিছু নয়। ভালো একজন মানুষ না হতে পারলে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সে অনেক সময় কল্যাণকর না হয়ে বোঝা হয়ে দাড়ায়। এ জন্য প্রয়োজন সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা অর্জন, যা মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ এবং সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে।সাধারণ শিক্ষা যা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়। এ শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে, যেমন- ভাষা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত ইত্যাদি। এ শিক্ষা ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে, নৈতিক শিক্ষা মানুষের মধ্যে সঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়, এবং ভালো-মন্দের ধারণা ও মানবিক গুণাবলী সৃষ্টি করে।মানুষের প্...
মার্কিন শুল্কনীতি, তেল ক্রয় রাজনীতি বাকযুক্ত এবং ভূ-রাজনীতি
অভিমত, আন্তর্জাতিক, সর্বশেষ

মার্কিন শুল্কনীতি, তেল ক্রয় রাজনীতি বাকযুক্ত এবং ভূ-রাজনীতি

|| বাপি সাহা ||ভূ-রাজনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। মেরুকরণ হচ্ছে দিন বদলের মত। অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সাথে সাথে পেশী শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অর্থনৈতিক শক্তিকে মজবুত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং নিজের শক্তির পরিচয় উপস্থাপন করার জন্য কোন পক্ষ অবলম্বন করে অন্যদেশে হঠাৎ আক্রমণ করে নিজে আবার শন্তিচুক্তি বা সমাঝোতা খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপর হামলার সমালোচনা হয়েছে বিশ্বব্যাপী। ফিলিস্তিনের গাজায় যে নারকীয় কর্মকাণ্ড চলছে তার প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী। ক্ষুধার্ত মানুষের উপর হামলা কতটুকু যুক্তিসম্মত তা বিশ্ব বিবেকের প্রতিবাদ সেটা বলে দিয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজনীতির থেকে ব্যবসা ভালো বোঝেন সেটা বোঝা যাচ্ছে তার শুল্কনীতিমালা বিশ্লেষণ করলে। বিভিন্ন দেশের উপর শুল্...
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সংস্কার ও নির্বাচন
অভিমত, সর্বশেষ, সারাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সংস্কার ও নির্বাচন

|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা, সকল ক্ষেত্রে সংস্কার, অনিয়ম দূর করার দাবিতে এদেশের ছাত্র-তরুণ-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। নিজের জীবন দিয়ে দামাল ছেলেমেয়েরা কারও ভাই, কারো বোন, কারও বাবা, কারও সন্তান রাস্তায় নেমে এসেছিল দেশের জন্য। যা গণ-অভ্যুত্থানে রুপ নেয়। এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের জুলুম, নির্যাতন, দুঃশাসন, দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।জুলাই, ২৪ সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজার হাজার শহীদের আত্মত্যাগ ও হাজার হাজার ছাত্র জনতা পঙ্গুত্ববরণ করে সংস্কার ও পরিবর্তনের যে সুযোগ...
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের গুরুত্ব
অভিমত, ধর্ম ও দর্শন, সর্বশেষ

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের গুরুত্ব

|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||মুসলিম জাতির অধঃপতন, বিপর্যয় এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ অনৈক্য, পরস্পর দলাদলি ও বিভক্তি। এ সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, "আর তাদের মতো হয়ো না যারা বিভক্ত হয়েছিল আর মতভেদ করেছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী আসার পরেও। আর এদেরই জন্য আছে কঠোর শাস্তি (৩: ১০৫)।"আল্লাহতো ভালোবাসেন তাদেরকে যারা তার পথে এভাবে সারিবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে যেন তারা সীসাঢালা প্রাচীর"। সূরা সাফ-৪বস্তুতঃ ঐক্য ফরজ, বিভক্তি হারাম।আল্লাহ বলেন, আল্লাহর দ্বীন কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। সূরা আশশুরা -১৩।আয়াতে ‘কায়েম কর’ অনুজ্ঞা, আর ‘বিভক্ত হয়ো না’ নিষেধাজ্ঞা। আর কুরআনের অনুজ্ঞা দ্বারা ফরজ, নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়- এই সূত্রানুসারে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ফরজ, আর বিভক্ত হওয়া- বিচ্ছিন্ন হওয়া হারাম।এ আয়াতের...
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা
অভিমত, সর্বশেষ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা

|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের জুলুম, নির্যাতন, দুঃশাসন, দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।একটি বৈষম্যহীন, দূর্নীতিমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সকল ক্ষেত্রে সংস্কার করে তা বাস্তবায়ন করতে পারলেই গণ-অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে বলে সবাই আশা করে। প্রকৃত পক্ষে, একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ জনগণের প্রত্যাশা। ’জুলাই, ২৪ সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজার হাজার শহ...
মার্কিন শুল্কনীতি ও আমাদের প্রাপ্তি
অভিমত, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, সর্বশেষ

মার্কিন শুল্কনীতি ও আমাদের প্রাপ্তি

|| বাপি সাহা ||বাংলাদেশের তিনটি শ্রেণির কথা না বললে চলে না। এই দেশের অর্থনীতি যাদের উপর নির্ভর করে এগিয়ে চলেছে তারা হচ্ছে আমাদের দেশের কৃষক শ্রেণি। যারা মাঠে ফসল উৎপাদন করে আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখেছে, তারা হচ্ছে আমাদের কৃষক সম্প্রদায়; কিন্তু সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে সমাজের প্রতিটি পদে পদে। ফসল উৎপাদন করেও সঠিক মূল্য না পাওয়ার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, যা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। সারের জন্য আমার দেশের কৃষকের প্রাণ দিতে হয়েছে। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে দিতে হয়েছে। কিন্তু কোনো সহানুভূতি সে ঘরে তুলতে পারেনি। কিছু লেখালেখি হয়েছে পত্রিকায় এর বেশি আর কি হয়েছে ? কৃষক যদি না বাঁচে সে কি বাঁচবে?আমাদের দেশের একটি শ্রেণি অনেক কষ্ট করে বিদেশের মাটিতে তাদের শ্রম বিক্রি করে আমাদের উন্নয়নে অর্থ পাঠাচ্ছেন, তারা হচ্ছেন রেমিটেন্স যোদ্ধা। নিজের যে টুকু ছিল...