১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে গতকাল এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শুরু হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার একেএম এনামুল হক। মূল বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মো: আতিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইউবি প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বলেন, শত ত্যাগের বিনিময়ে যারা এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের প্রতি স্বাধীনতার এইদিনে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা আর যোগ্য নেতৃত্বের ফলেই আজ আমরা বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছুতে পেরেছি। আমাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রে সততা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
মূল আলোচনায় প্রফেসর মো: আতিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকতা নির্ভর না হয়ে আমাদের যাপিত জীবনের অংশে রুপান্তরিত করতে হবে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই স্বাধীনতার সুফল প্রমাণ করতে হবে। যে কারণে এইউবি তার শিক্ষার্থীদের সবসময় দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়। এই সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম বলেন, স্মৃতিতে আজো ভাসে ৭১ এর সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা, মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল আমাদের বাড়িতে আমরা সার্বক্ষণিক তাদের সকল কর্মকান্ডে সহযোগিতা করেছি।
সভাপতির বক্তব্যে এইউবি ভিসি ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান বলেন, স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে, হৃদয়ে আত্বস্থ করতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে। আমি গর্বিত আমি এই দেশের সন্তান। বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমরা একই জেলার সন্তান, তিনি সবসময় একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পেরেছি কি না? সেই উত্তর খুজতে পারলেই আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুক্তাশা দীনা চৌধুরী।