
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
জমকালো আয়োজনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ জুন ২০২৫) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব। জমকালো এ নবীনবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। রং-বেরঙয়ের বেলুন-ফেস্টুনে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি ভবিষ্যত পেশাগত জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি তোমাদের যোগাযোগ ও ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন সফট স্কিলে পারদর্শী হওয়ার প্রতি মনযোগী হতে হবে। একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপনের কৌশল শিখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিজের প্রচার, পরিচিতি বাড়ানো ও দক্ষতা অর্জনের কৌশল শেখার স্থান উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাকুরির জন্য একটি সুন্দর সিভি কি করে লিখতে হয় কিংবা ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হয় এ সুযোগ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পাওয়া যায়। এজন্য তোমাদেরকে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন বিতর্ক সভা, সেমিনার, ও কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে মানারাত ইউনিভার্সিটির দুই শহীদ শাকিল হোসেন ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহসহ আহতদের স্মরণ করে বলেন, একটি দেশের মুক্তি ও প্রকৃত স্বাধীনতা এটা শুধু মুখের কথায় হয় না। এ জন্য অনেক ত্যাগ ও রক্ত দিতে হয়। যেটা মানারাত ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা করে দেখিয়েছে। এ জন্য আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমার পক্ষ থেকে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি সালাম ও গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তৃতায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোকই মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি বিরাট স্কুল বা কলেজ। প্রকৃত অর্থে বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন এক জায়াগা যেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি জ্ঞান বিতরণ, গবেষণা ও গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান তৈরি করা এবং তা ছড়িয়ে দেয়া হয়।
‘আ সেন্টার অব একাডেমিক অ্যান্ড মোরাল এক্সিলেন্স’ স্লোগান সামনে রেখে জাতিকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা উপহার দেয়ার যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তা বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, দশ মাস আগেও বিশ্ববিদ্যায়টি অপদখলে ছিল। আল্লাহর রহমতে অপদখল থেকে ফেরত পেয়েই আমরা সব জঞ্জাল ছাপ করে জাতিকে দেয়া সেই প্রতিজ্ঞা পূরণে ফের দৃঢ় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
রেজিষ্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেনের স্বাগত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো: মাহবুব আলম, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. আবু আইয়ুব মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।
প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।