শনিবার, অক্টোবর ১১

সিরাজগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে চলে রমরমা মাদক ব্যবসা : টাকা আসে ডিডির বিকাশে

|| সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ||

সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে চলে জেলায় সকল মাদক ব্যবসা। জেলায় ৮টি মাদক নিরাময় কেন্দ্র, মাদক ব্যবসায়ী ও লাইসেন্স নবায়নে প্রতিমাসে ডিডির বিকাশে পাঠাতে হয় টাকা তা না হলে চলে অভিযান। দির্ঘদিন যাবৎ সিরাজগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে চলছে নানা অপকর্ম। ডিডির নিজস্ব বিকাশ হিসাবের মাসিক তালিকা এখন প্রতিকেদকের হাতে।

মহাসড়কে মাদক অভিযানের নামে সোর্সদের দিয়ে তল্লাসী। লুট হয় যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ টাকা। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যেমে সংবাদ প্রচারের পর তদন্ত করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ প্রধান কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। এরপরেও জেলায় সকল মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক মো: রুহুল আমিনের নিজস্ব বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক ও লাইসেন্স নবায়নকারীদের সাথে।

বগুড়া ফরেন লিকার এর ম্যানেজার প্রদীপ কুমারের নিজস্ব বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে ডিডির বিকাশ একাউন্টে আসে ১৫ হাজার টাকা। এই বিষয়ে প্রদীপ কুমার বলেন, স্যারকে আমরা প্রতিমাসে খুশি হয়ে এটা দেই।

উল্লাপাড়ার ঘোষগাতী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সবুজ আহম্মেদ তার নিজস্ব বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে দুইবার ডিডির বিকাশ একাউন্টে দেন ৫ হাজার টাকা করে। এ বিষয়ে সবুজ বলেন, স্যার একবার মাছ কিনে ছিলেন, সেই মাস পচা বের হয়েছিলো। আমি সেই জেলের কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিয়ে স্যারের একাউন্টে পাঠিয়েছি।
আল আয়াত মাদক শক্তি পরামর্শ ও নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক সুলতার হোসেন বলেন, আমরা ব্যবসা করি এই ব্যবসা করতে হলে অনেক জায়গায় অনেক কিছু করতে হয়। আমরা ডিডি স্যারের জন্যও কিছু করি আরকি।

জান্নাতী ট্রেডিং এর পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত আর আমার বিকাশের দোকান আছে কে প্রতিমাসে টাকা পাঠায় আমি তা বলতে পারলাম না।

উল্লাপাড়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের হাসান আলী বলেন, ব্যবসা করতে হলে অনেক কিছু করতে হয় সব কথা বলা ঠিক না। তবে আমার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে কিভাবে স্যারের বিকাশে টাকা যায় আমি তা বলতে পালাম না।

একইভাবে জেলার সকল মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে টাকা আসে ডিডির নিজস্ব বিকাশে। টাকা আসে সকল মাদক ব্যবসায়ীদের বিকাশ একাউন্ট থেকে। স্প্রিট সহ বাকী লাইসেন্স নবায়নে বাড়তী দিতে হয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে।

এসকল বিষয়ে সিরাজগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক মো: রুহুল আমিন বলেন, আমার নিজস্ব বিকাশ নম্বর বেশ কিছুদিন যাবৎ বন্ধ। আগে কারা টাকা দিয়েছে তা বলতে পারলাম না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *