শুক্রবার, জানুয়ারি ৩

ইসলামী শিক্ষাসহ সকল শ্রেণীর পাঠ্যবইতে মুসলিম কৃষ্টি কালচার প্রতিফলিত হোক

বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কৃষ্টি-কালচার, আচার-অনুষ্ঠান, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, ব্যক্তি, সমাজ সর্বস্থানে ইসলামী নীতি-নৈতিকতার প্রভাব প্রতিফলন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

সকল দেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বইতে স্বস্ব ধর্মের প্রভাব থাকবে না, এটা কোনভাবেই কোন ধর্মের বিবেকবানরা মেনে নিতে পারে না।

৯০ ভাগ মুসলিম দেশে শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হবেন ইসলামী ব্যক্তিত্ব, এটাই দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মার সময় ও যুগোপযোগী চাহিদা।

স্কুলের বিভিন্ন স্তরে নামকাওয়াস্তে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা থাকলেও কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদি কোন সাবজেক্টে পরীক্ষা না থাকে, সেটা পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না।
দেশের মুসলিম সন্তানদেরকে কৌশলে ইসলাম থেকে দূরে সরে দেওয়ার জন্য অতি উৎসাহী কিছু লোক এগুলো নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে, যেগুলো বিষয়ে সরকারের নজরদারি আছে বলে প্রাজ্ঞজনরা মনে করেন না।

সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, অতি সত্তর নিম্নে বর্ণিত বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিতে সরকার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

১. ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোন বিষয় কোন বইতে না থাকা।
২. ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোনো বিষয় থাকলে সকল ধর্মের গ্রন্থ থেকে তা অপসারণ করা।
৩. ইসলামী শিক্ষা বিষয়কে এসএসসি কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করা।
৫. NCTB /মাদ্রাসা অধিদপ্তরসহ দেশের সকল বড় বড় চেয়ারে নিষ্ঠাবান মুসলিম শিক্ষাবিদদের নিয়োগ প্রদান করা।
৬. ইসলামী প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন ইসলামী প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ব্যক্তিত্বদের নিয়োগ প্রদান করা।
৭. সকল অনার্স/মাস্টার্স কলেজে ইসলামী শিক্ষা কোর্স চালু করা।
৮. সকল সরকারি কলেজে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে সকল শূন্য পদ পূর্ণ করা।

বাংলাদেশ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দেশ। মুসলিম জাতি উদারপন্থী জাতি। তাই এদেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবে, আমার ধর্মের ক্ষতি করবে, এমন বিষয় আমরা মুসলিম হিসেবে নয় কেউই মেনে নেবে না।

তাই আজকে আমাদের দাবি প্রত্যেকেই স্বস্ব ধর্ম পালনে স্বাধীনতা ভোগ করুক, কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দিক, এবিষয়টি নিশ্চিত করা।

বিদ্র: সাতক্ষীরায় কয়েকটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীর ইসলামী শিক্ষা বইতে দুর্গার ছবি পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে তাই সাথে সাথে বইগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে (৩.১.২৪ jago news 24.com)। অনলাইন পিডিএফ কপিতে এ ধরনের কিছু নেই।

লেখক: প্রতিথযশা শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক এবং প্রফেসর, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ও সাবেক ডিন, থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *