
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের স্ত্রী মারিয়া আক্তার বলেছেন, আমার স্বামীকে রাজনীতি করতে হবে না, দরকার নেই। আমাদের খুব চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমার স্বামীকে আমি আর রাজনীতি করতে দেব না। শুধু ওকে আমাদের কাছে ফেরত দিন।
শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নুরুল হক নুরসহ আটকৃতদের মুক্তি, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ ও চিকিৎসার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মারিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর থেকে তার (নুরের) ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এমন নির্যাতন করা হয়েছে যে, নুর নিজের পায়ে হেঁটে আদালতে আসতে পারেনি। পুলিশ সদস্যদের কাঁধে ভর করে আদালতে আসে। স্ত্রী হিসেবে এমন নির্যাতন কোনোভাবে সহ্য করার মতো নয়। পাশবিক নির্যাতনের পরও তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
নুরকে রিমান্ডে নিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ করে মারিয়া আক্তার আরো বলেন, নুরের দুটি পা ওপরের দিকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে, ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান নুরের স্ত্রী।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে মারিয়া আক্তার জানান, তার স্বামী ডাকসুর সাবেক ভিপি। আগে ছাত্র আন্দোলন করেছেন। সে জন্য ছাত্রদের নিয়ে কথা বলেছেন। নৈতিকভাবে আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন। এতটুকু অধিকার তো সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার স্বীকারোক্তি (পুলিশ) নেওয়ার চেষ্টা করছে যে তিনি (নুর) এগুলোর সঙ্গে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে নুরের বাবা ইদ্রিস আলী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় নুরের ছোট ভাইকেও গ্রেফতারের অভিযোগ করেন তারা।