প্রচন্ড হাড় কাঁপানো শীতে থমকে গেছে রাজধানী ঢাকা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, তবুও কোথাও সূর্যের দেখা মিলছে না। পুরো শহর ঢেকেছে কুয়াশার চাদরে। ব্যস্ততম ঢাকা যেন জনমানব শূন্য নগরীতে পরিণত হওয়ার উপক্রম।
কাজের সন্ধানে বের হতে পারছেন না দিনমজুরেরা। চাকরিজীবীরা অফিসে গেলেও হিম হয়ে যাওয়া হাতে কাগজ-কলম ধরতেও কষ্ট হচ্ছে। গতকালের তুলনায় আজকের তাপমাত্রা আরও কমে গেছে। এতে সকাল থেকেই শীতের তীব্রতা যেমন বেশি, তেমনি কনকনে বাতাস যেন গায়ে হুল ফোটাচ্ছে।
তীব্র শীতে শ্রমজীবী মানুষের আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে পড়ছেন তারা। ওদিকে ঠান্ডার প্রকোপে হাসপাতালে শিশু ও প্রবীণ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
দুদিন ধরে জেঁকে বসা তীব্র শীত আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে চরম দুর্ভোগে পড়বেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হওয়া দেশবাসীকে বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে অধিদপ্তরটি। দপ্তরটি বলছে, ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত।
গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে।
রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৩.৯ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পরিলক্ষিত হয়।