সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা ওসমান ফারুকী খাজা’জী বলেন, সুফি ভাবাদর্শের জয়গান গেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রগতির লড়াইয়ে, কল্যাণ, সত্য, সুন্দরের প্রতিষ্ঠায়, মানবতার জয়গানে, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের সংগ্রামে এই কবির রচনাবলি আমাদের অফুরান প্রেরণা ও পাথেয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে চট্টগ্রাম একাডেমিতে অভিযাত্রী পত্রিকার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এডভোকেট মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী খালিদ বিন সরওয়ার (জনী)। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির ট্রেজারার সনজয় আচার্য, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল পারভেজ। বাংলাদেশ টুডে-র চট্টগ্রামের ব্যুরো চীপ সাংবাদিক এম এস আকাশ।
খাজা’জী বলেন, বাংলা সাহিত্যের এক বিস্ময়কর প্রতিভা কাজী নজরুল ইসলাম। বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য, নাটকীয়, চ্যালেঞ্জিং ও ঘটনাবহুল জীবনবৃত্ত এই কবির। শরীর মনে তিনি সুস্থ ছিলেন মাত্র ৪৪ বছর। জীবনের বাকি ৩৪ বছর কেটেছে স্তব্ধ নির্বাক। তাঁর সুস্থ সৃষ্টিশীল সচল জীবন অতিক্রান্ত হয়েছে অবিশ্রাম সৃজন-মুখরতায়।
খাজা’জী আরও বলেন, বাংলাদেশের রণসংগীত তাঁরই লেখা গান। মুক্তিযুদ্ধে দুর্জয় প্রেরণার উৎস ছিল নজরুলের কবিতা ও গান। আকাশের মত উদার, সাগরের মত গভীর সেই বিশাল সাহিত্য প্রতিভা ও তাঁর বহুমাত্রিক অবদান। সেসবের সামগ্রিক ও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর, শিক্ষক ও কবি কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার, কবি ও আবৃত্তি শিল্পী সোমা মুৎসুদ্দি, অধ্যাপক অর্পনা বিশ্বাস, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম। আবৃত্তি করেন কবি আলমগীর হোসাইন, কবি শিমলা চৌধুরী, এম মনজুর চৌধুরী মানিক। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্প বৈশাখী দাশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়কর আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী, আয়কর আইনজীবী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক কর্মী আসাদ ইকবাল, সাংবাদিক ইমরান সোহেল, লেখক কামাল হোসেন, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।