ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে শিশুই রয়েছে তিন হাজারের মতো। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, আকাশপথে হামলার পাশাপাশি গাজায় এবার স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলী বাহিনী। ট্যাংক নিয়ে রাতভর তারা এ অভিযান চালায়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে গাজার প্রায় ৪৫ শতাংশ ভবন পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত ২৯টিসহ এ পর্যন্ত ২১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার ১৪ লাখের মতো মানুষকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।
নিহত হয়েছেন ১০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী। আহত শতাধিক। ৫০টি অ্যাম্ব্যুলেন্স ধ্বংস। নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। উত্তর গাজার ২৪টি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ। হাসপাতালগুলোকে ক্ষমতার ১৫০ গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে ইনকিউবেটরে রাখা ১৩০টি নবজাতক মারাত্মক ঝুঁকিতে। গাজায় প্রতিদিন আনুমানিক ১৬৬টি শিশু অনিরাপদভাবে জন্ম নিচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলী হামলায় শিশু হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আদেলে খোদর বলেন, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের ওপর ক্রমবর্ধমান দাগ ফেলছে। খাবার, পানি, মেডিক্যাল সরঞ্জাদি, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা সেখানে ঢুকতে না দেয়ায় প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে।
সূত্র : আলজাজিরা