|| ডা. মো. আনোয়ার সাদাত, খুলনা ||
নারী নির্যাতন ও নারীর অসন্মান সমাজে অহরহ ঘটছে। নারীর মর্যাদা রক্ষায় নারীকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুরুষের দায়িত্বও কম নয়।
অপ্রয়োজনীয় ও অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র বিশেষ নারীর জন্য বিপদের কারণ হয়ে দেখা দেয়।
ইসলাম নারীদের অনেক মর্যাদা দিয়েছে। এ মর্যাদা রক্ষায় পুরুষদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি নারীদেরও। বিশেষ করে, নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় নারীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান কর এবং (পরপুরুষের সামনে) সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়িও না, যেমন প্রাচীন জাহেলি যুগে প্রদর্শন করা হতো। নামাজ কায়েম কর, জাকাত আদায় কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো চান তোমাদের থেকে মলিনতা দূরে রাখতে এবং তোমাদেরকে সর্বোতভাবে পবিত্রতা দান করতে।’ (সুরা আহজাব : ৩৩)।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেকেই স্বীয় অধীনস্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। সুতরাং জনগণের শাসনকর্তা তাদের বিষয়ে দায়িত্ববান। আর তিনি স্বীয় অধীনস্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। প্রত্যেক পুরুষ স্বীয় পরিবারের লোকদের বিষয়ে দায়িত্ববান। তিনি নিজের অধীনস্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। প্রত্যেক নারী স্বীয় স্বামীর পরিবারের লোক ও তার সন্তানদের বিষয়ে দায়িত্ববান। তিনি তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। কোনো লোকের চাকর স্বীয় মনিবের সম্পদের বিষয়ে দায়িত্ববান। সে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (মুসলিম : ১৮২৯)।
অবশ্য ইসলাম এমন সংকীর্ণ ও কঠোর ধর্ম নয় যে, প্রয়োজনের তাগিদেও ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না এবং চাকরি-বাকরিতেও যোগদান করা যাবে না। সময়ের দাবিতে এবং প্রয়োজনের তাগিদে অবশ্যই ঘর থেকে বের হওয়া যাবে, তবে পর্দাশীলতার সঙ্গে, শালীনতা বজায় রেখে।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন।
লেখক: ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক, খুলনা।