আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে। এদিন দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ ভোটের মাধ্যমে আগামী চার বছরের জন্য দেশ পরিচালনায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। ইতোমধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আজ কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণাও দিয়েছে ইসি।
শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে যেকোনো মূল্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিষয় উল্লেখ করে সব ভোটারকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। গেল বছর ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে আজ (রবিবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনে ভোটাররা যেন উপস্থিত না হন সে জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বেশকিছু ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এমনটাই মনে করছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো।
ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে অবাধে যাতায়াত করতে পারে সে জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকছেন। এ ছাড়া ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকবেন। তারা যেকোনো অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনীও মাঠে থাকছে।