বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, এমপি নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ায় বিসিবি সভাপতি পদ কি ছেড়ে দিতে হবে নাজমুল হাসান পাপনকে? আর তিনি এ পদ ছাড়লে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন কে? গত বুধবার রাতে তার মন্ত্রী হওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকেই ক্রিকেট পাড়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এতে অনেকেই আশা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক দ্বিতীয় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা হবেন পরবর্তী বোর্ড সভাপতি।
একটানা প্রায় পাঁচ বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। বাংলাদেশ জাতীয় দল দেশে ও বিদেশে সব ফরম্যাটে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে তার নেতৃত্বে। এছাড়া গত পাঁচ বছর নিজের নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য হিসেবেও প্রচুর কাজকর্ম করেছেন ক্রিকেটাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফি বিন মুর্তজা। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনার জন্য তাকে নিয়ে অনেকেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন।
তাই যারা নাজমুল হাসান পাপন আর বোর্ডের সভাপতি থাকবেন না বলে ধারণা করছেন, তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশই মাশরাফিকে বোর্ড সভাপতি হিসেবে পেতে চাচ্ছেন।
কিন্তু বিসিবির সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ মুহূর্তে বোর্ড সভাপতি হতে পারবেন না মাশরাফি বা কোনো জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার।
কারণ, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ মুহূর্তে নাজমুল হাসান পাপন যদি বিসিবি প্রধানের পদ ছেড়েও দেন, তাহলে সবার আগে বাকি পরিচালকদের মধ্য থেকে কেউ একজন হবেন বোর্ড সভাপতি।
নাজমুল হাসান পাপন নিজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে না দিলে তার মেয়াদকালের পুরো সময় সভাপতি পদে আসীন চাইলে কারোই আপাতত বোর্ড প্রধান হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
প্রথমে বিসিবির কাউন্সিলর হতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে কাউন্সিলরদের ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হয়। এরপর পরিচালকরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করে।