বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১টি জেলা। যে কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
সম্প্রতি এক চিঠিতে ট্যারিফ কমিশন এনবিআরকে এমন সুপারিশ করেছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, দেশে ৬-৭ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও বিশেষ অনুমতি ছাড়া ডিম ও আলু আমদানি হয় না। পেঁয়াজ থেকে রাজস্ব আহরণ হলেও বাকি দুই পণ্য থেকে তেমন রাজস্ব আদায় হয় না। যদিও বর্তমানে শর্তসাপেক্ষে আলু ও ডিম আমদানির অনুমতি রয়েছে। এই অবস্থায় চিঠিতে কমিশন আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ও ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ এবং ডিম ও আলু আমদানিতে ৩৩ শতাংশ করে শুল্ক-কর রয়েছে। এছাড়া ডিম ও আলুতে সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ ও ৩ শতাংশ আরডি প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এনবিআর।
জানা গেছে, বন্যা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো হতে পারে। এ বিষয়ে আলোচনা করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে এনবিআর। অন্যদিকে ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত প্রান্তিক খামারিরা। বন্যায় খামারিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে সব দিক বিবেচনা করে ডিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় পেঁয়াজ ও আলুর শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ দরকার। না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না। এর আগেও এসব পণ্যের কর শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে এর ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়েনি। এসব পণ্যের শুল্ক কর কমানো নিয়ে চলতি সপ্তাহে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।