রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫

ইউআইইউ’তে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইরফান ভূঁইয়া’র স্মরণে দোয়া ও ‘স্বাধীনতা কর্নার’ উদ্বোধন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ইউআইইউ) শিক্ষার্থী শহীদ ইরফান ভূঁইয়াসহ সকল শহীদের স্মরণে ‘দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মাদানী এভিনিউ ইউনাইটেড সিটিস্থ মসজিদ আল-মুস্তফা’তে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও একই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ইউআইইউ লাইব্রেরীতে ‘স্বাধীনতা কর্নার’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

ইউআইইউ’তে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইরফান ভূঁইয়া’র স্মরণে দোয়া ও ‘স্বাধীনতা কর্নার’ উদ্বোধন

দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউর বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জনাব হাসান মাহমুদ রাজা, ইউআইইউর ট্রাস্ট্রি সদস্য জনাব কে এম আহসান শামীম, ইউআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া, ট্রেজরার জনাব মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেম, আইএআর’র নির্বাহী পরিচালক ও প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান এবং রেজিস্ট্রার ডাঃ মোঃ জুলফিকার রহমান।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দোয়া মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইউআইইউ কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ ইরফান ভূঁইয়াসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।

ইউআইইউ’তে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইরফান ভূঁইয়া’র স্মরণে দোয়া ও ‘স্বাধীনতা কর্নার’ উদ্বোধন

অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনাইটেড গ্রুপের পক্ষ থেকে শহীদ ইরফান ভূঁইয়ার পরিবারকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়। শহীদ ইরফান ভূঁইয়ার নামে ইউআইইউ লাইব্রেরী এবং মেইনটেনেন্স ল্যাবের নামকরণ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অগ্রণী ভূমিকায় ছিল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। এই গৌরবময় আন্দোলনকে তুলে ধরতে ইউআইইউ লাইব্রেরীতে ‘স্বাধীনতা কর্নার’ উদ্বোধন করেন ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস ও তথ্য-উপাত্ত এখানে সংরক্ষিত থাকবে এবং প্রতিনিয়ত এগুলো সমৃদ্ধ হবে।

ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া বলেন – স্বাধীনতা কর্নারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মধ্যে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে এবং বৈষম্যহীন একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, অবিভাবক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *