শনিবার, ডিসেম্বর ১৪

ইউআইইউ’তে ইংলিশ অলিম্পিয়াড’র বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

দেশের তরুণদের নেতৃত্ব গুণাবলিকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আরও দৃঢ় করতে শুরু হয়েছে ইংলিশ অলিম্পিয়াড সিজন-০৪। ইংলিশ অলিম্পিয়াডের ঢাকা বিভাগের বাছাইপর্ব গতকাল ইউনাইটেড ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, চাইল্ড রাইটস একটিভিস্ট ফাতিহা আয়াত, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডোলান্ড, জনপ্রিয় শিক্ষক এবং শিক্ষা উদ্যোক্তা ফাহাদ হোসেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক এবং ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ইউনাইটেড ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেন, ইউআইইউ ইংলিশ অলিম্পিয়াডের গুরুত্বপূর্ন অংশীদার। এসময় বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের পরিবর্তনের কারিগর। তারাই আগামীদিনের নেতা। তাদের মাধ্যমের সমাজ, রাষ্ট্র কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। সেজন্য তরুণ শিক্ষার্থীদের আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।

এ বছর ইংলিশ অলিম্পিয়াড কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ বিবেচনায় মোট নয়টি বিভাগের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তার অংশ হিসেবে ঢাকা পর্বের এ আয়োজন। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায়ের স্পোকেন ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন অংশগ্রহণকারীরা।

এ আয়োজনে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিডজ থেকে শুরু করে স্মল-স্টার, জুনিয়রস, সিনিয়রস, হাই ফ্লাওয়ারস এবং উচ্চশিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ট্রেইল-ব্লেজারস’সহ মোট ছয়টি বিভাগে প্রতিযোগীরা শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছেন।

প্রতিযোগিতার শুরুতে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী থাকলে চূড়ান্ত পর্বে মুখোমুখি হয়েছে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। ইংলিশ অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বের চ্যাম্পিয়ন পাবেন ৩ লাখ টাকার সম্মাননা, মেডেল ও সার্টিফিকেট। এছাড়াও ফাইনালের সকল শিক্ষার্থীই পাবেন একটি করে মেডেল ও সার্টিফিকেট।

ইংলিশ অলিম্পিয়াডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আমান সুলাইমান বলেন, আমরা আয়োজনের শুরু থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ‘থিংক ইন ইংলিশ’ ধারণাকে জনপ্রিয় করার প্রত্যয়ে আমরা এটি শুরু করি। এটি এখন একটি প্রতিষ্ঠিত আয়োজন এবং আগামীদিনে বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

দেশীয় শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ ও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইংলিশ অলিম্পিয়াড। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া এ আয়োজনটি বর্তমানে দেশের সীমানা পেরিয়ে কাজ করছে বিশ্ব দরবারেও। ১০৩ টি দেশে ছড়িয়ে যাওয়া ইংলিশ অলিম্পিয়াডের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪৩টি দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *