|| প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইবি ||
১৯৪৮ জাতিসংঘে পাশ হওয়া ভূমিহীন ইহুদীদের জন্য ফিলিস্তিনী মুসলিমদের জমি বসত-ভিটা কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে ইসরাইল নামক (বিষ বৃক্ষের) রাষ্ট্রের জন্ম দেয়া হয়। জন্মদাতা তৎকালীন বৃটিশ গভর্ণমেন্ট। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা এক সময় গোটা পৃথিবীই শাসন করেছে বলা যায়। যাদের রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না, আর এ কারণেই তাদের পতাকা কখনই অর্ধনমিত হয় না। বৃটিশ কূটচালে পরাস্ত হয়ে স্বাধীনতা হারানো বহু দেশ আজো ধুকছে অমানিশার অন্ধ গলিতে। ওরা স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিলেও এমন একটা চিহ্ন রেখে গেছে যাতে তারা চিরদিন স্মরণ করে একদিন তারা বৃটিশদের অধীনস্ত ছিল।
ভারত বিভাজন করে ভারত-পাকিস্তান নামক দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরী করলেও কাশ্মীরকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরী বানিয়ে রেখে যায়। ফিলিস্তিনীদের ভূমি জবর দখল করে ইসরাইল নামক স্বাধীন রাষ্ট্র তৈরী করে ফিলিস্তিন মুসলিমদের জন্য কবরস্থান বানিয়ে রেখে যায়। ১৯৫৬ সনে ইরাককে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিলেও তার পূর্বাংশ কেটে রেখে দেয় কুয়েত সিটিকে এবং ১৯৭১ সনে কুয়েতকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে যাতে ইরাক পারস্য উপসাগরে ঢোকার কোন রাস্তা না পায়। পরের ইতিহাস সবার জানা কুয়েত উদ্ধারের নামে ইসলামী সভ্যতার সূতিকাগার বাগদাদ নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে যায়নবাদী আমেরিকান শাসকবৃন্দ যাদের সাপোর্টে বেচে আছে ইসরাইল।
১৯৪৮, ১৯৫৬, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধ কেবলী যায়নবাদী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে শক্তিশালী করেছে এবং ভূমি দুস্যতায় অপ্রতিরোধ্য গতি দিয়েছে, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উচ্ছেদ করে সেখানে ইহুদীদের বসতী স্থাপনের উলম্ফগতি এনে দিয়েছে। আরবরা বুঝে গেছে তাদের দ্বারা ইসরাইল নামক বিষ বৃক্ষটিকে উপড়ে ফেলা সম্ভব না। আরব দুনিয়ার বাইরে তুরস্ক ও ইরান যতই হুমকী-ধমকী দিক তারাও জেনে গেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার অর্থ ইউরোপ ও আমরেকার সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, যার সক্ষমতা তাদের নেই।
আজারবাইজান ও কাজাকস্থানের ফুয়েল দিয়ে ইসরাইল যুদ্ধ বিমান আকাশে উড়াচ্ছে, আর মারছে ফিলিস্তিনের নিরীহ সাধারণ জনগণকে। তুরস্কের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী যাচ্ছে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলে। আমরা দাবী করছি আমরা মুসলিম- কী সেলুকাস! সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান এবং মিশরের ফেরাউন মুহাম্মদ সিসি আল-ফাত্তাহ ইহুদী মায়ের গর্ভজাত সন্তান-কাজেই তাদের কাছে মুসলিম উম্মাহর কোন প্রত্যাশা থাকা অনুচিত।
আমাদের অনেক শায়খের মুখ নি:সৃত অমীয় বাণী: সহীহ ইলম আর সহীহ জিহাদ বিজয় নিশ্চিত করে। ইতিহাস সাক্ষী এসব দাবীদারদের কাউকে জিহাদের ময়দানে খুজে পাওয়া যায়নি। আল্লাহ যাদের বিজয় চেয়েছেন ওরাই বিজয়ী হয়েছে, ওদের সংখ্যা যতই কম হোক না কেনো। সালাফদের আমল বলে যা চালানো হচ্ছে, তা অধিকাংশ সাহাবা, তাদের সন্তানাদি ও অধিকাংশ তাবেঈনদের আমল থেকে কেনো ভিন্ন ছিল? ইমাম মালেক রহ. মদীনার সাহাবা ও তাদের সন্তানদের আমলের উপর ভিত্তি করেই সংকলন করেছিলেন মুয়াত্বা, যা মালেকী মাযহাবেরও ভিত্তিমূল। তার কাছে তখন অনেক সহীহ হাদীস উল্লেখ করা হলে তিনি তা গ্রহণ করেননি। তিনি বলেছিলেন- আমি মদীনার সাহাবা ও তাদের সন্তানদের থেকে প্রাপ্ত হাদীসের বাইরে কোন হাদীস গ্রহণ করবো না।
ইমাম আবূ হানিফা রহ. ইরাকের কুফা নগরীর সাহাবা ও তাবেঈনদের আমলকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন এবং হাজারো সহীহ হাদীসকে আমলে নেননি। কারণ, ওমার রা. ইসলামের শরীআতের জ্ঞান সম্প্রসারণে বিজ্ঞ ও ফকীহ সাহাবাদেরকে মদীনার বাইরে প্রেরণ করেছিলেন। তার নির্দেশেই বয়স্ক ফকীহ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা.(যিনি সফরে রাসূল সা. এর জুতামুবারক বহন করতেন, যাকে বলা হয়ে থাকে হাদারান ওয়া সাফারান-সার্বক্ষণিক রাসূল সা. এর সঙ্গী) কুফার ভাগ্যাকাশে উদিত হন এবং দশ বছর সেখানে ইসলামী শরীআতি জ্ঞান বিতরণ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে আলি রা. কুফায় রাজধানী স্থানান্তর করলে বহু প্রথিতযশা বিখ্যাত সাহবীদের রা. পদভারে ধন্য হয় এ অঞ্চল। এসব সাহাবাদের রা. জ্ঞানের প্রজ্জ্বলিত বহ্নি শিখায় আলোকিত জনপদেই জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ ফকীহ ইমাম আবূ হানিফা রহ.।
এ অঞ্চলের অধিবাসীদের মাঝে রাসূল সা. এর আমলের চাক্ষুষ স্বাক্ষী সাহাবা ও তাদের অনুসারী তাবেঈনদের অনুসৃত পদ্ধতি, যাকে বলা হয়ে থাকে সুন্নাতে মুতাওয়ারিসাহ সেটাকেই ইমাম আযম আবূ হানিফা রহ. তার ফাতওয়ার মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এখন যারা বলার চেষ্টা করছেন যে, ইমাম আবূ হানিফা রহ. যয়ীফ হাদীসের উপর আমল করে গেছেন। তাহলে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রা. ও আলী রা.সহ অন্যান্য সাহাবা রা. যারা কুফাবাসীকে ইসলাম শিক্ষা দিলেন তারা যয়ীফ হাদীসের উপর আমল করা শিখিয়েছেন? (যদিও এ সময় হাদীসের শ্রেণীবিন্যাসের কোন অস্তিত্ব ছিল না।)৷ কেউ যদি মনে করেন সুন্নাতে মুতাওয়ারিসাহ এর বাইরে গিয়ে সহীহ হাদীসের উপর আমল করবেন, করতে পারেন এতে বাধা নেই। কারণ যেগুলো শাখাগত বিষয়- তাতে বাড়াবাড়ি করার কোন সুযোগ নেই, বরং শরীআতে ভিন্নতর আমলের অবকাশ দেয়া হয়েছে।
শিরকের মূল উচ্ছেদে আমাদের দেশে সালাফী ভাইদের কার্যক্রম প্রসংশার দাবী রাখে, কিন্তু বিদাতের ঢালাও প্রচার অগ্রহণযোগ্য। যেমন শিখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে হযরত ওমার রা. তারাবীহ সালাত বিশ রাকাআত চালু করে বেদাত করেছেন এবং উসমান রা. তৃতীয় আযানের প্রচলন করে বেদাত করেছেন। এ দু’জন সাহাবা সম্পর্কে এ ধারণা পোষণ করা যায় কি না? যাদেরকে দুনিয়ায় থাকতেই রাসূল সা. বেহেশতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। প্রশ্ন হলো শাখাগত বিষয় নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করছেন, সমাজে বিভেদের দেয়াল তৈরী করছেন, ইসলাম ও বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রসূত অর্বাচীন বক্তব্য দিয়ে সমাজকে অসহীষ্ণু করে তুলছেন, কোন সময় কোন বক্তব্য দিলে মুসলিম উম্মাহর লাভ-ক্ষতির পরিমাপ করার মতো ফিকহের জ্ঞান যাদের নেই, তারা কী মুসলিম উম্মাহর কল্যাণকামী?
ইসলামী বিধিবদ্ধ আইনের একটি সূত্র হলো- درء المفاسد مقدم علي جلب المصالح কল্যাণ আনয়নের কাজের উপর অকল্যাণ দূরীকরণের কাজ প্রাধান্য পাবে। আপনার কল্যাণমূলক কাজ বা কথা যা সমাজে ফাসাদ বা বিপর্যয় তৈরী করার সম্ভাবনা থাকলে বা কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণ বেশী হলে সে কল্যাণমূলক কাজ বা কথা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا’যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ের পেছনে পড়ে থেকো না বা তার অনুসরণ অনুগমন করো না। নিশ্চয়ই কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর তাদের কার্যক্রমের জন্য জিজ্ঞাসিত হবে।
নিজেকে সবজান্তা ভাবার কোন সুযোগ নেই। আমরা কোন না কোন বিষয়ে অজ্ঞ, সে অজ্ঞতা দোষণীয় নয়, কিন্তু যদি আমাদের বক্তব্য সমাজ, রাষ্ট্র, মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি সাধন করে, তাহলে তা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং তা থেকে বিরত থাকা আমাদের আবশ্যকীয়। ইসলাম স্বীকৃত শাখাগত বিষয়সমূহের মতভেদ যেনো আমাদের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরী না করে-সে জন্য এসব বিষয়ের প্রচারণায় সংযমী হওয়া, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কল্যাণে সত্যকে নির্মোহভাবে তুলে ধরা এবং ফেতনা তৈরী না করা। আমিই সঠিক দুনিয়ার বাকী মুসলিম সব কাফের- এ ধরনের চিন্তা-চেতনা কেবল মুসলিম সমাজটাকে পারষ্পারিক কলহ বিবাদে ভরিয়ে তুলবে। মুসলিম ঐক্য বিনাশী যে কোন কথা ও কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা খুবই জরুরী।
ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়্যুবী রহ. মাসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধারের পর তিন হাজার নামধারী ইমাম (যারা ছিল মূলত ইহুদীদের চর) হত্যা করেছিলেন। এরা মুসলমানদের ছোট খাটো শাখাগত বিষয় কেন্দ্রিক বিভাজন তৈরী করে মুসলমানদের ঐক্য বিনষ্ট করছিল। শিয়া-সুন্নী, খাওয়ারেজ ,মু’তাযিলা, জাহমিয়্যাহ, কাদারিয়্যাহ, জাবারিয়্যাহ মুরজিয়াহ চিন্তা-চেতনার দ্বান্দিকতা তুলে ধরার মাধ্যমে ডিভাইড এন্ড রোল পলিসি এপ্লাই করে মুসলিম জাহানকে করেছে তারা শতধা বিভক্ত। ইসলামের শত্রুরা তৈরী করেছে কাদিয়ানী মতবাদ, সালমান রুশদীর স্যাট্যানিক ভার্সেস, গাযওয়াল ফিকরী বা বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধ, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- যায়নবাদী চেতনা, ইব্রাহীমি ধর্মমতের প্রচারণা, সর্বশেষ এনআরএম (NRM=New Religion Movement) আন্দোলন, যার নাম দেয়া হয়েছে নৈতিক শিক্ষা-যার মূল লক্ষ্য বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত ধর্মসমূহকে বিলিন করে দেয়া। মাঝে মধ্যে আমাদের দেশেও খ্রিস্টান মুসলিম লেবাসধারী ইমাম পাওয়া যাচ্ছে, যা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। এছাড়া ইহুদী গুপ্তচর তৈরীর চেষ্টাও চলছে মসজিদ-মাদ্রাসা কেন্দ্রিক। সময়ের সাহসী সন্তানদের এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে এবং মুসলিম ঐক্য সংহতি তৈরীতেও ভূমিকা রাখতে হবে।
রাসূল সা. সারা দুনিয়ার মু’মিন-মুসলিমদেরকে একটা দেহের সাথে তুলনা করে বলেছেন – مَثَلُ المُؤْمِنِينَ في تَوَادِّهِمْ وتَرَاحُمِهِمْ وتَعَاطُفِهِمْ، مَثَلُ الجَسَدِ إذا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَدَاعَى له سَائِرُ الجَسَدِ بالسَّهَرِ والحُمَّى».
[صحيح] – [متفق عليه] পারষ্পারিক ভালোবাসায় , দয়া-অনুগ্রহে এবং সাহায্য-সহযোগিতায় মু’মিনগণের উদাহরণ হলো একটা দেহের ন্যায়- যখন এর কোন অংগ-প্রত্যঙ্গ রোগাক্রান্ত হয় বা ব্যাথা অনুভব করে তখন সারা দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ ব্যাথায় বিনিদ্ররজনী পার করে এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যায়। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)।
অন্য একটি হাদীসে রাসূল সা. বলেন: المؤمن للمؤمن كالبنيان يشد بعضه بعضًا একজন মু’মিন আরেকজন মুমিন মিলে এমন এক ভিত্তিমূল কাঠামো তৈরী করে যা পরষ্পরকে দৃঢ়ভাবে কাছে টানে। ফিলিস্তিনের গাযযায় বর্বর ইসরাইল যা করছে, তা মু’মিন-মুসলমানের শরীরে কোন ব্যাথার সৃষ্টি করছে কী? আমরা সহযোগিতায় সহমর্মিতায় পরষ্পরকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে রাখার চেষ্টা কতটুকু করছি? ইটের পর ইট দিয়ে তৈরী হয় শক্ত দেয়াল, সীসা ঢালাই করা প্রাচীর, কেনো আমরা মুসলিম ঐক্য বিধানে তা করতে পারছি না? আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের রেখে যাওয়া ইসলামের বুনিয়াদের উপর দাড়িয়ে তাদের অবদানের স্বীকৃতিটুকুও দিচ্ছি না, উল্টো যেনো কবর থেকে তুলে জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছি-আপনার আকিদাহ ঠিক ছিল তো?
আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আকিদাহ ব্যবচ্ছেদে ব্যস্ত সময় পার করছি। আমরা আরাম আয়েশে বসে অন্যের দোষ-ত্রুটি খুজে বেড়াচ্ছি, নিজেকে কখনো জিহাদের ময়দানে মুত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়ে কল্পনা করেছি? আমাদের বিষবাষ্প ছড়ানো কথামালা মুসলিম উম্মাহর কতটা ক্ষতি সাধন করছে-একবারও কখনো ভেবে দেখেছি কী? রাসূল সা. এক দেহে লীন হওয়ার এবং সীসা ঢালা প্রাচীর ভিত্তিমূল তৈরীর কথা বলে গেলেন, সেটা আমরা না পারলেও নন মুসলিম আমেরিকা-ইউরোপ এক দেহ হয়েই বিশ্ব শাসন করছে। আমেরিকার হুক্কা হুয়ায় তাদের দু’টি যুদ্ধ জাহাজ গাযযাহকে ঘিরে রেখেছে, আর ইউরোপের ৩৬টি যুদ্ধ জাহাজ রেডি হয়ে বসে আছে। রাসূল সা. এর শিক্ষা অমুসলিমরা ধারণ করলো, আর আমরা হেরে গেলাম অমুসলিমদের ডিভাইড এন্ড রোল পলিসির কাছে।
বিশ্বে ৫৬টি দেশ মুসলিম নামধারী রাষ্ট্র, ২২টি আরব জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক বাহক রাষ্ট্র, যারা অর্থনৈতিকভাবে বলিয়ান কোথায় তাদের আরব ভ্রাতৃত্ববোধ? কোথায় তাদের মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ? বাড়ীর পাশে সারি সারি লাশের স্তুপ, বারুদের গন্ধ যাদের গায়ে লাগছে তারা কী করে নির্বিকার থাকছে? বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, শিশুর কান্না, ফিলিস্তিনি শিশুর ঘাস চিবিয়ে খাওয়ার দৃশ্য! কী জবাব দেবো প্রভু তোমার কাছে? দূর থেকে দু’ফোটা অশ্রু ঝরায়ে তোমার কাছে ফরিয়াদ ফিলিস্তিন-গাযযাহকে তুমি রক্ষা কর এবং আমাদের মুসলিম উম্মাহর শাসকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দাও, যালিমদেরকে যমিন থেকে উতখাত করে দাও। আমীন।
লেখক:
প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), কুষ্টিয়া।