সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্তে না যায় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রবিবার (১৪ জুলাই) সোয়া ৩টার দিকে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে সাংবাদিকদেরকে এ বিষয়ে জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
এর আগে বিকেল তিনটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলটি এ তথ্য জানায়।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের ১২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে যায়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, নিদ্রা, আশিক, মাহিন, মাসুদ ও সিফাত।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছি, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসরদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংবিধান অনুসারে সংসদে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আশা করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আইন প্রণয়ন করতে জরুরি পদক্ষেপ নেবেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এক দফা দাবিতে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছি। আমরা এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। আজকে আমাদের থামানো যায়নি। আমরা চাচ্ছি না কঠোর কর্মসূচিতে যেতে। আমরা চাই দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হলো মামলা তুলে নিতে। না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিয়ে সবাইকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবো।