
|| লোহাগাড়া প্রতিনিধি ||
বর্বরোচিত মধ্যযুগীয় নির্যাতন, সাজানো মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে নিজ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে আপন ছেটভাইসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জিয়া উদ্দিন (৪০) নামের এ ভ্যানচালক।
সোমবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার রেস্টেুরেন্টের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনি এর প্রতিকার চান। জিয়া উদ্দিন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উত্তর হারবাং কোরবানীয়া ঘোনা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে জিয়া উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ২ যুগের অধিক সময় ধরে লোহাগাড়া বটতলি মোটরস্টেশনে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে অভাবের সংসারে হাল ধরে আছি। ছোট ভাইয়ের জন্য বউ এনে সংসার গুছানোর হাল ধরতেই পরিবারে নেমে আসে অশান্তি। কয়েকমাস আগে লোহাগাড়া বটতলি স্টেশনে কয়েকদফা হামলা করে আমার ভাই জহিরুল ইসলাম। যা প্রকাশ্যে শত্রুতায় রুপ নেয়। এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানা ও চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সামাজিকভাবে কয়েক দফা বৈঠক করে মীমাংসা হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসমাঈলসহ কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে জিম্মি করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিলে থানায় অভিযোগ দিলে স্ট্যাম্প গুলো থানায় ফেরত দেন। ইসমাঈলের নেতৃত্বে আমাকে বিভিন্ন হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে পৈত্রিক বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক মারধর, হামলা, সাজানো মামলা ও মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার ৪টি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো মামলার আসামী। এসব মিথ্যা মামলা সাজানোর ভূমিকা রেখেছে ইউপি সদস্য মো. ইসমাঈল ও তার সহযোগীরা।
আমরা প্রতি মুহূর্তে জীবননাশের হুমকির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছি। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিকার প্রার্থনা করছি।
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইসমাঈলের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাজিকভাবে বিচারের মাধ্যমে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। স্ট্যাম্পগুলো হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আপন ছোটভাই জহিরের মারধরের বিষয়ে বললেও তিনি মারধর ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে মারিনি, জিয়াউদ্দিনকে তার ছোটভাই জহির মেরেছে জেনেছি।