সোমবার, আগস্ট ১৮

স্ত্রীর কারণে প্রাণ গেল ভ্যানচালক আলামিনের

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

আসাদুল ও রিপা বেগমের ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন। আসাদুলের বাড়ি ঝিনাইদহে। তাদের সংসারে চার ছেলেমেয়ে। বড় ছেলে ফরহাদ বিয়ে করে সংসার করছে। বড় মেয়ে মিমও প্রায় বিবাহের উপযুক্ত। এ অবস্থায় বছর খানেক পূর্বে দাম্পত্য কলহের কারণে রিপা বেগম স্বামীকে তালাক দেয়। ৪/৫ মাস পূর্বে রিপা বেগম (৪০) বিয়ে করেন ভ্যানচালক আলামিনকে (৩৩)।

পুলিশের ধারণা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় আসাদুল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ থেকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের নন্দন প্রতাপ গ্রামে এসে দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে আলামিনকে হত্যা করে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আলামিন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়। টিন সেডের একটি ঘরে সে ভাড়া থাকত।

রিপা’র ভাষ্য মতে, ঘটনার দিন শনিবার (২ আগস্ট) ঘরের ভিতর দ্বিতীয় স্বামী ভ্যান চালক আলামিন, তার দুই মেয়ে মিম এবং রিমিকে নিয়ে ঘুমিয়েছিল। খুব ভোরে আলামিনের নাম ধরে ডাকে। চিৎকার শুনে তার স্বামী আলামিন টিনের দরজা খুলে মাথা বের করার সাথেই সাথেই তার পূর্বের স্বামী আসাদুল দা দিয়ে মাথায় কোপ মারে। এরপর দু’জনে ধস্তাধস্তি করতে থাকে আর আসাদুল আলামিনকে দা দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় দায়ের কোপ ঠেকাতে যেয়ে তারও হাত কেটে যায়। এভাবে কিছুক্ষণ কুপিয়ে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ভ্যানে করে রক্তাক্ত আলামিনকে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে ওইদিন রাতে আলামিনের মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন হয়।

দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচএম শাহীন বলেন, শনিবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে আসাদুলকে গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের একটা বিশেষ টিম এ ব্যাপারে কাজ করছে। আশাকরি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *