
|| নিজস্ব প্রতিবেদক || বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) ||
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বেলকুচি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও বেলকুচি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর আলম প্রামাণিককে নিয়ে গত দুই দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়—তিনি মুকুন্দগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্যানচালকদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যায় নিজেই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নেমে পড়েছেন। তবে এই মানবিক উদ্যোগকে বিকৃত করে কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কয়েকজন সুবিধাভোগী ব্যক্তি বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুকুন্দগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রায় প্রতিদিনই তীব্র যানজটে জর্জরিত থাকে। এ সড়ক দিয়েই এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী যানজটের কারণে অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকে, যা রোগীর জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় স্থায়ীভাবে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এমন অবস্থায় সাবেক কাউন্সিলর আলম প্রামাণিক বেশ কিছুদিন ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে জ্যাম নিয়ন্ত্রণে নেমে কাজ করছেন। তিনি ভ্যান, অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চালকদের সচেতন করে সঠিক লাইনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন, যাতে জরুরি যানবাহন দ্রুত পার হতে পারে।
সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঘড়ান এলাকার সড়কও একই সমস্যায় ভোগে। স্থানীয়রা জানান—মুকুন্দগাঁতী ঘড়ান থেকে গার্লস স্কুলের সামনে প্রায়ই ভয়াবহ জ্যাম লেগে থাকে। এ অবস্থায় অনেক যানবাহন ব্রেক ফেল হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। মানবিক বিবেচনায় এসব ঝুঁকি কমাতেই আলম প্রামাণিক নিয়মিত এগিয়ে আসেন।
ভিডিওটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা বলেন, “আলম ভাই প্রায়ই এসে জ্যাম ছাড়ান। ধৈর্য ধরে সবাইকে বুঝিয়ে সঠিকভাবে লাইনে দেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ঘুরছে—ওটা সম্পূর্ণ বিকৃত। ইচ্ছা করেই তাকে বিব্রত করার চেষ্টা চলছে।”
এ বিষয়ে আলম প্রামাণিক বলেন, “মানুষের ভোগান্তি কমানো ছাড়া আমার কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই। অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকলে বড় দুর্ঘটনা বা বিপদ হতে পারে—এই চিন্তা থেকেই আমি মাঝে মাঝে জ্যাম নিয়ন্ত্রণে নেমে যাই। অথচ কিছু ব্যক্তি এটিকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে, যা সত্যিই দুঃখজনক।”
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, একজন জনপ্রতিনিধির মানবিক উদ্যোগকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা অনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো তথ্য যাচাই করে দেখার ওপর গুরুত্ব দেন, যাতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।
