বুধবার, অক্টোবর ৮

সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না: ক্রীড়া উপদেষ্টা

|| স্পোর্টস ডেস্ক ||

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে আর কখনো ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে না সাকিব আল হাসানকে। কারণ, বাংলাদেশের হয়ে সাকিবকে আর খেলতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশের জনপ্রিয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা।

সাকিবের এক ফেসবুক পোস্টের জেরে আসিফের সঙ্গে দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র বিতর্ক। এর মধ্যেই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে চূড়ান্তের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।

আসিফ মাহমুদ বলেছেন , ‘তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের জার্সির পরিচয় বহন করতে দেওয়া, এটা আমার পক্ষে কোনোভাবেই সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব না। ইতোপূর্বে এটা আমি বিসিবিকে না বললেও এখন বোর্ডের প্রতি আমার স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে, সাকিব আল হাসান আর কখনো বাংলাদেশ টিমে খেলতে পারবেন না।’

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘যতবার তিনি (সাকিব) দেশে আসার জন্য চেয়েছেন, খেলার জন্য চেয়েছেন, বলেছেন “আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আমি শুধু এমপি ইলেকশনটা করেছি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।” কিন্তু আসল সত্যটা তো হচ্ছে, তিনি আসলে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে আষ্টপৃষ্ঠভাবে জড়িত, যার প্রমাণ আমরা পেলাম।’

প্রমাণ বলতে আসিফ মাহমুদ আসলে সাকিবের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা বুঝিয়েছেন। যে পোস্ট থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।

মূলত গত রবিবার রাত ৯টার দিকে ফেসবুকে গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের একটা ছবি দিয়ে পোস্ট করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সাকিব। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা।’ মূলত, এই পোস্টের পর থেকেই সাকিব-আসিফের ভার্চুয়াল লড়াই শুরু হয়।

তবে এর আগে পেছনের ঘটনাও একটু মনে করা যাক। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময়কালে সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। এরপর আর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব। আরও অনেকের মতো সাকিবের নামেও হত্যা মামলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে, আছে দুদকের মামলাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *