
|| মোঃ আখতার হোসেন হিরন | সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ||
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অধিক লাভের আশায় সবজি চাষে ঝুঁঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। কৃষিপণ্য ধান চাষের চেয়ে এখন সবজি চাষে লাভ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই সলঙ্গা অঞ্চলের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকেরা সবজি চাষে এখন বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেক কৃষককে আবার সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে দেখা যাচ্ছে। প্রতি শতক জমিতে বছরে প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকার সবজি উৎপাদন করা যায় বলে জানান স্থানীয় কৃষক।

তাই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সলঙ্গা অঞ্চলের কৃষকেরা এখন বাড়ির উঠানে, রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে, কৃষি জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, শিম, শসাসহ বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি চাষ করে ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন।
ধান চাষ করলে সার, বীজ, কীটনাশক, পানি ও পরিচর্যায় খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই এখন সবজি চাষে ঝুঁঁকছেন। সলঙ্গা থানার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সলঙ্গারচর, কালীবাড়ি, লাঙ্গলমোড়া, চর ধুবিল, এরান্দহ, তিন নান্দিনা, জঞ্জালী পাড়া, মালতি নগর, ধুবিল, অলিদহ, কালিকাপুর, আমশড়া, ঘুরকাসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন সবজি চাষ করে। উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকগণ।
ঘুড়কা ইউপির জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী (৫৬) জানান, বাড়ির উঠানে, রাস্তার ধারে পতিত জমিতে জাংলা বা মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে আমি আশানুরূপ ফল পেয়েছি। তিনি আরও জানান, একই জমিতে এক এক জায়গায় একাধিক ফসল ফলিয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
সলঙ্গা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল আরমান জানান, আবাদে কৃষকদের সাথে আমরা সরাসরি মাঠে গিয়ে সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকি বলে কৃষকেরা এখন অধিক লাভবান হচ্ছেন। একদিকে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। অপরদিকে দেশে সবজি উৎপাদনে তারা ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। শাক সবজি উৎপাদনের জন্য আমরা শাক সবজির বীজ, সার কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ইতিমধ্যেই বিতরণ করেছি।
