
|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||
আমরা সবাই হযরত লোকমান হাকিমের নাম শুনেছি। তার জ্ঞান-প্রজ্ঞার পরিচিতি-প্রসিদ্ধি জগতজুড়ে। তাকে বিশেষ জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করা হয়েছিল। আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তার কথাকে পবিত্র কুরআনে মানুষের নসিহত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার নামে পবিত্র কুরআনে একটি সুরা অবতীর্ণ হয়েছে। নিজের ছেলেকে দেওয়া তার উপদেশবাণী বিশ্বখ্যাত।
সকলের কাছে হাকিম হিসেবে পরিচিত ছিলেন হযরত লোকমান হাকিম। হাকিম মানে হচ্ছে যার থেকে প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা বের হয়। তার কথা ছিল অর্থবহ। মানুষের মাঝে এর প্রভাব ছিল ব্যাপক। এখনো তার কথাকে বাণী হিসেবে লিখে রাখা হয়।
হযরত লোকমান পেশাগত দিক থেকে ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। সামান্য আয়ের মানুষ হলেও তিনি কখনো অর্থের জন্য অনৈতিক কাজে জড়াননি। সৎভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়েই তিনি জীবন চালাতেন। লোকমান হাকিম তাঁর ছেলেকে অনেক উপদেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১০ উপদেশ এখানে উল্লেখ করা হলো। যেগুলো পবিত্র কোরআনে সুরা লোকমানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহর সঙ্গে শিরক না করা
মাতা-পিতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা এবং আল্লাহর পরে তাদেরও কৃতজ্ঞতা আদায় করা।
পিতা-মাতা শিরক-কুফরি করতে নির্দেশ দিলে তাদের কথা মানা যাবে না। তবে তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভদ্র আচরণ অব্যাহত রাখতে হবে।
অপরাধ যত ছোটই হোক, তা হতে বিরত থাকা অপরিহার্য। কারণ কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা উপস্থিত করবেন।
সালাত কায়েম করা।
মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা।
বিপদাপদ ও মানুষের দেওয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করা।
মানুষকে অবহেলা করা যাবে না।
চলাফেরায় অহংকারী মনোভাব পরিহার করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা (খুব দ্রুতও নয়, মন্থরও নয়)
নরম ও নিচু আওয়াজে কথা বলা। (সুরা লোকমান: ১৩-১৯)
আল্লাহ আমাদের এসকল নসিহত মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
লেখক: ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক ও চিকিৎসক (খুলনা)।