রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল ফলো অনে পড়ার। তবে লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে ফলো অন এড়িয়েছে টাইগাররা। ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথে ছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে হঠাৎ আউট হন ভালো ব্যাটিং করতে থাকা মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মিরাজ। আর তাতেই টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ড গড়া জুটি গড়েছেন এই দুই টাইগার তারকা।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে ১০ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ৯ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে পেসার খুররাম শেহজাদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬ রান যোগ করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুধু মাত্র সাদমান ছাড়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার।
সাদমান ১০, জাকির হাসান ১, নাজমুল হাসান শান্ত ৪, মুমিনুল হক ১, মুশফিকুর রহিম ৩ ও সাকিব আল হাসান ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। পাক বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। ৮৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। লিটনের পর ফিফটি পূরণ মিরাজ।
তবে দলীয় ১৯১ রানে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে মিরাজের। ১২৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তাকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন খুররাম। তাতে ভাঙে ১৬৫ রানের জুটি। আর তাতে নতুন ইতিহাসের রচনা করেন এই লিটন-মিরাজ জুটি। ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট পড়ার পর টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দেড়শ রানের জুটি এটিই।
এর আগের রেকর্ড়টি ছিলো ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক ও কামরান আকমলের। ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রান যোগ করেছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। এছাড়া বাংলাদেশের চেয়ে কম রানে রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শতরানের জুটি টেস্ট ইতিহাসে আছে কেবল আর একটি। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমা বনার ও জশয়া দা সিলভা পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন।
আর তাতে ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কমে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটা এখন মিরাজ-লিটনের।