|| প্রফেসর ড. মোঃ মঈনুল হক, ইবি, কুষ্টিয়া ||
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এ পৃথিবীর সফর সমাপ্ত হলো ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যদ ইব্রাহীম রাইসি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আজারবাইজানের পূর্ব সীমান্ত প্রদেশের গভর্ণরসহ চারজনের। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
আজারবাইজান সফরে গিয়েছিলেন রাইসি এবং হেলিকপ্টারে ফিরছিলেন ইরানের তাবরিজ শহরে। অস্বাভাবিক খারাপ আবহাওয়ার কবলে পরে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
কিন্তু এর পেছনে কোন গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কী না সেটা জানার সময় এখনো আসেনি। তথাপি বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত দুটো গোষ্ঠীর ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে। এক. ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং দুই. ইরানের খোমেনির পরিবার।
রাইসি শিয়া-সুন্নীর আকিদাগত পার্থক্যকে পাশ কাটিয়ে রাজনৈতিক সখ্যতা গড়ে তুলেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর সাথে, যা খোদ ইরানের কোনো কোনো গোষ্ঠীর অপছন্দের তালিকায় পড়ে যান তিনি। এছাড়া ফিলিস্তিনের হামাসকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন যার কারণে ইসরাইলের চক্ষুসূল হয়ে পড়েন। এদিকে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর শুনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেন- বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বার প্রান্তে। অপরদিকে ইরানের দুই শতাধিক বিমান ইরাকের আকাশেই আটকে দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের আকাশে ঢুকতে দেয়নি। এসব কিসের আলামত আল্লাহ ভালো জানেন।
যারা এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আল্লাহ তাদের ভুলত্রুটি মার্জনা করুন এবং ভালো কাজের বিনিময়ে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
লেখক: আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এবং অন্যতম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক, আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।