বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯

যে কারণে শ্রমিকের চাহিদা কমছে মধ্যপ্রাচ্যে

কুয়েতসহ অন্যান্য গাল্ফদেশগুলোতে আগের মতো শ্রমিকের চাহিদা নেই! বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আসছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আসে মিশর ভারত, নেপাল ও অন্যান্য দেশ থেকে। কারণ এসব দেশে অভিবাসন ব্যয় খুবই কম। ফলে এসব দেশের শ্রমিকরা সহজে ভিসা নিয়ে আসতে পারে।

অন্যদিকে, অভিবাসন ব্যয়ের দিক দিয়ে আমাদের ধারের কাছে কেউ নেই, কুয়েতসহ অন্যান্য দেশে আসতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। ফলে যে ব্যয়ে কুয়েতসহ অন্যান্য দেশে আসার পর ওই ব্যয় তুলতেই একজন শ্রমিকের কয়েক বছর লেগে যায়। এর দায় অধিকহারে অভিবাসন ব্যয় এবং দুই-তিন স্তরের মধ্যসত্ত্বভোগীর হস্তক্ষেপের কারণেই ব্যয় বেড়ে যায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা এই সুযোগটা লুফে নিচ্ছে। আর আমরা নতুন শ্রম বাজার হারাচ্ছি। যেগুলো চালু আছে সেগুলোতে অধিকহারে অভিবাসন ব্যয়ের ফলে শ্রমিক সংকট হচ্ছে প্রভৃতি দেশগুলোতে।

এখন আমাদের অভিবাসন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় তার ওপর নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের। তার জন্য প্রয়োজন এই অভিবাসন ব্যয় কমানো। ব্যয় কমাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাঝে যেন মধ্যস্বত্বভোগীরা অনুপ্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে।

নিরাপদ, নিয়মিত ও দায়িত্বশীল অভিবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করতে হবে, প্রবাসী কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষায় সব অংশীজনের দায়িত্বশীল ভূমিকা খুবই জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *