
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে আজ। পরীক্ষামূলক চালু হলেও ট্রেনের পূর্ণগতি পেতে আরও সময় লাগবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সেতুর পূর্বপাড় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশ থেকে পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ অংশে পৌঁছায় এবং অপর একটি ট্রেন পশ্চিমপাড় থেকে পূর্বপাড়ে পৌঁছায়। দুটি ইঞ্জিন ও তিনটি বগি নিয়ে ট্রেন দুটি চালিয়ে পরীক্ষা করেন প্রকৌশলীরা।
রেল সেতুটির প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, প্রথমে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার পরে ২০ কিলোমিটার ও শেষে ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলানো হয় সেতু দিয়ে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সময় কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি পাওয়া যায়নি। এ সময় প্রকল্পের দেশি ও জাপানি প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। বুধবারও বিভিন্ন গতিতে সেতু দিয়ে ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ট্রেনের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন উপলক্ষে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
রেল সেতু রেলওয়ে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন যমুনা রেল সেতু সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশের এই দীর্ঘতম রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে সেতু পার হতে পারবে। সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধনের প্রথম বছরে সাধারণত ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সেতু পারাপারে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় বাঁচবে।