|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সে ফলাফলে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা সরকারি মুগদা মেডিকেল কলেজের জন্যে মনোনীত হয়েছেন কারিমা আক্তার। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ সাপলেজা গ্রামের মোঃ আনছার আহমেদ গাজীর ছোট মেয়ে কারিমা। জানতে চাইলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী কারিমা আক্তার জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন। আজ সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে সকলের কাছে দোয়া চাই ভালোভাবে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হয়ে গরিব অসহায়-সহ এলাকার মানুষকে সেবা দিতে পারি।
সাপলেজা মডেল হাই ইস্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী কারিমা আক্তার এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ৭৩৪ তম হয়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় স্কুলসহ সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এই শিক্ষার্থী’র চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তার পিতা- মোঃ আনছার আহমেদ গাজী, মাতা- সাফিয়া বেগম-সহ আত্মীয় স্বজন গর্বিত। তার বড়ভাই মাছুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের আদরের ছোট্ট বোনটি ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। সে ক্লাস ফাইভ ও এইটে বৃত্তি পেয়েছিল। তখন থেকেই আমরা স্বপ্ন দেখতাম, বোনটি আমার ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে। সে স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। বোনের এই অর্জনে সত্যিই আমরা খুব আনন্দিত। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন, যেন পড়াশোনা শেষ করে সত্যিকারের সেবক হতে পারে।
কারিমার মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্তিতে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস বইছে তার স্কুল শিক্ষকদের মাঝে। এ প্রসঙ্গে সাপলেজা মডেল হাই ইস্কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। তিনি জানান, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি গুণগত শিক্ষার মান আর মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে। এবিষয়ে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, মেধাবী কারিমা আক্তারের পরিবার উচ্চশিক্ষিত। তার ভাইয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার বাবা মোঃ আনছার আহমেদ গাজী একজন ভালো মানুষ। তিনি তার সন্তানদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করার জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেন। তার ছোট্ট মেয়েটিও ডাক্তারি পড়তে চান্স পাওয়ায় আজ তার পরিশ্রম সফল হলো। গ্রামের প্রতিটি পরিবার তার মত এগিয়ে আসলে সমাজ দিন দিন উন্নতির দিকে যাবে। উল্লেখ্য, কারিমা আক্তার ২০২২ সালে এসএসসি ও ২০২৪ সালে এইচ এসসিতে জিপিএ ৫ (গোল্ডেন) পেয়েছিল।