শনিবার, আগস্ট ২৩

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সংস্কার ও নির্বাচন

২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা, সকল ক্ষেত্রে সংস্কার, অনিয়ম দূর করার দাবিতে এদেশের ছাত্র-তরুণ-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। নিজের জীবন দিয়ে দামাল ছেলেমেয়েরা কারও ভাই, কারো বোন, কারও বাবা, কারও সন্তান রাস্তায় নেমে এসেছিল দেশের জন্য। যা গণ-অভ্যুত্থানে রুপ নেয়। এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের জুলুম, নির্যাতন, দুঃশাসন, দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।

জুলাই, ২৪ সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজার হাজার শহীদের আত্মত্যাগ ও হাজার হাজার ছাত্র জনতা পঙ্গুত্ববরণ করে সংস্কার ও পরিবর্তনের যে সুযোগ এনে দিয়েছে, তা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা সময়ের দাবি। অথচ অনেকের কথায় মনে হচ্ছে, শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্যই এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। তাই আজ অনেকেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু জনগণ মনে করে, দেশ পুনর্গঠনের জন্য, একটি সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।

গত ৫৪ বছরের বাংলাদেশে অনেক ক্ষমতার পরিবর্তন দেখেছে এদেশের জনগণ। গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সময়ের বাংলাদেশ জনগণ দেখেছে। রাজনৈতিক দলকে দেখা হয়েছে। অনেক নির্বাচন দেখা হয়েছে, অনেক নেতা নেত্রীর ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও জনগণের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয় না।

দুর্নীতি বৈষম্য বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন বৈষম্য, দুর্নীতি জুলুম মুক্ত দেশ। তাই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দেশটাকে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *