রবিবার, জুলাই ২৭

বিকেন্দ্রীকরণে স্বস্তিতে রাবি ভর্তিচ্ছুরা

|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||

প্রতি বছরের তুলনায় এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায়। প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের ভর্তিযুদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রংপুর অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮২ হাজার ৭৪১ জন,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্থানে ৩৫ হাজার ৬৩০ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ১৮ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৯৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে বি ইউনিটের মোট ৪২ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে রাবিতে পরীক্ষার্থী ছিল মাত্র ১৩ হাজার ৬৩১ জন। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় প্রতিবারের তুলনায় এবার ক্যাম্পাসে পরীক্ষার্থী-অবিভাবকদের উপস্থিতি অনেকটাই কম ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সীদ্ধান্তকে স্বস্তিদায়ক বলে উল্লেখ করেছে পরীক্ষার্থী ও অবিভাবকরা।

হাবিবুর রহমান নামের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, গত বছর আমার ছেলে পরীক্ষা দিয়েছে, এবার আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিবারের মতো অবিভাবকদের ভোগান্তি নেই। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই ভর্তি পরীক্ষাকে কিভাবে আরও ভোগান্তিমুক্ত করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।

বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছেন মারিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আগে পরীক্ষা দিয়েছে এমন অনেকের কাছে শুনেছি রাবির পরীক্ষায় অনেক ভোগান্তি হয়। প্রচুর ভীড় থাকে, আগেরদিন আসতে হয়। কিন্তু আজকের পরীক্ষা স্বস্তিতেই দিয়েছি। সামনে আবার এ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে আসবো। নতুন সীদ্ধান্তের কারণে সকালে বগুড়া থেকে এসে পরীক্ষা দিয়েছি, আজই ফিরতে পারবো।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, ছোটখাটো কিছু ঘটনা ছাড়া আজকের ভর্তি পরীক্ষা ঠিক মতো শেষ হয়েছে। আজকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনের পরীক্ষা দুটো আরো ভালো হবে আশা করি। ভর্তি পরীক্ষায় ভলান্টিয়াররা যে আন্তরিক সেবা দিয়েছে তা দেখে আমি মুগ্ধ। রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছে। কোন শ্লোগান নেই, নেই কোন হট্টগোল, নেই কোন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। সকল সংগঠন সাধ্যমত ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অবিভাবকদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *