ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এই মানবিক বিপর্যয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।
তাদের মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় ‘ডাকবাক্স ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত কাবিলা অর্থাৎ জিয়াউল হক পলাশ। সেখানে পলাশের ডাকবক্সের ২৭ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছে।
এ সম্পর্কে পলাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সবাই শুকনো খাবার ত্রাণসামগ্রী হিসেবে দিচ্ছে। আমি একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করে পাশে রয়েছি। একটি স্থানে পরিস্কারভাবে রান্না করে সেই খাবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে বন্যার্তদের খাওয়াচ্ছি।
হাজারের কাছাকাছি মানুষকে নিজেরা রান্না করে খাইয়েছি। আগামী তিনদিন এভাবে চলবে। এর আগে আমার ভলান্টিয়াররা ফেনীতে ছিল, এখন তারা কাজ করছে নোয়াখালীতে।
রান্না করা খাবার কেন- এমন প্রশ্নে পলাশের ভাষ্য, প্রতিবার ২৫০/৩০০ জনকে রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে। শুকনা খাবার তো তারা পাচ্ছেই। ভারী বা ঘরের খাওয়ার স্বাদটা যেন পায়, সেই চেষ্টা রাখা হচ্ছে।
এর আগে এতিমখানায় ইফতারি দিয়েছি। দেখেছি কিছু বাচ্চা ইফতারে কিছু খেয়ে বাকিটা রাতে খাওয়ার জন্য রেখে দিত। তাই আমরা খাওয়াচ্ছি এবং কোনো পাত্র থাকলে তাকে পরবর্তীতে খাওয়ার জন্যও দিচ্ছি।
পলাশ গণমাধ্যমকে আরো জানান, বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসনে সচেতন হওয়া জরুরি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি রোগবালাই ছড়ায়। নারী-শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। আমার ভাবনা সেদিকেও রয়েছে। বন্যা পরবর্তীতেও আমি ও আমার টিম সক্রিয় থাকব।
তিনি জানান, খুব বেশি মানুষ জানে না তার এই ‘ডাকবাক্স ফাউন্ডেশন’-এর কথা। তাই যেসব কার্যক্রম চলে ৮০ শতাংশের অর্থায়ন তিনি করেন। তবে পরিচিত কেউ যদি স্বেচ্ছায় ডোনেশন দেন সেটা গ্রহণ করা হয়।