রবিবার, ডিসেম্বর ২২

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর উদ্বোধন সম্ভব ডিসেম্বরে

যমুনা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৯৪ শতাংশ কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর বাকি মাত্র ৬ শতাংশ কাজ। এ কাজ শেষ হলেই ডিসেম্বরে হবে উদ্বোধন। এতে বিরতিহীনভাবে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে পারাপার হতে পারবে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুর প্রায় ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম প্রান্তের স্টেশন ও প্লাটফর্মের কিছু কাজ। এছাড়া সেতুর পশ্চিমপাড়ের অংশে লেভেলিং অ্যালাইমিং ও ট্র্যাক বসানোর কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষ হওয়ার পর টেস্টিং ও ট্রেন চালু করার কিছু নিয়ম শেষ করে ডিসেম্বরেই উদ্বোধন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২১ সালে মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে পাইলিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মাণকাজের ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এ প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণাধীন এ সেতুটির সবকটি স্প্যান এরইমধ্যে বসানো হয়েছে। যমুনা নদীর পূর্ব টাঙ্গাইলের অংশের পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জে পুরোপুরি কাজ শেষের দিকে রয়েছে। এছাড়া সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও প্রায় শেষ।

সেতুটি ডিসেম্বরেই উদ্বোধন করা সম্ভব হবে জানিয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হয়েছে। ফলে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে দূর হবে ভোগান্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *