![‘প্রয়োজনে মারা যাবো, তবু গাজা ছাড়বো না’](https://alokitodoinik.com/wp-content/uploads/2025/02/gazzah_20250206_500004-1024x576.jpg.webp)
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষকে স্থায়ীভিত্তিতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এমনকি গাজা দখলেরও হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের এ ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব ও হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজার মানুষ। খবর বিবিসির।
এক ফিলিস্তিনি নারী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা গাজাতেই থাকবেন এবং গাজাতেই মরবেন।
তিনি বলেন, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এখানে থাকব এবং গাজা ভূখণ্ডে, জন্মভূমিতে মরব। আমরা দেড় বছরের যুদ্ধ, মৃত্যু ও ধ্বংস মোকাবেলা করেছি। এরপরও আমরা এখানে রয়েছি। তাহলে আমরা কীভাবে এ ধরনের প্রস্তাবে রাজি হতে পারি?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজার সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। টানা ১৫ মাসের যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি জাতিগত নিধনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন করছেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে পাশে রেখে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজা উপত্যকার দীর্ঘমেয়াদী মার্কিন মালিকানার প্রত্যাশা করেছেন।
এর মাধ্যমে গাজাকে পুনর্গঠিত করে সেখানে চাকরি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধনে ট্রাম্পের আহ্বান আমাদের নিজ জমি থেকে উৎখাতের শামিল।
তিনি বলেন, গাজা নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য হাস্যকর এবং অযৌক্তিক। এই ধরনের যে কোনও ধারণা অঞ্চলটিতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দেবে।
আবু জুহরি বলেন, আমরা তাদের পরিকল্পনাকে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা তৈরির একটি রসদ হিসেবে বিবেচনা করি। কারণ গাজার বাসিন্দারা এ ধরনের পরিকল্পনা কখনই বাস্তবায়ন করতে দেবে না।