|| অর্থনীতি ডেস্ক ||
পেঁয়াজ আমদানির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ১০ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে আমদানি পর্যায়ে থাকা মোট করভার ১০ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হলো। এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রে আর কোনো প্রকার কোনো প্রকার শুল্ক কর থাকল না থাকল না। এতে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে। স্থানীয় পর্যায়ে বাজারে সরবরাহও বাড়বে। তাতে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের এ সময় সাধারণত আগাম জাতের বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসে বাজারে। কিন্তু এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে দেরি হয়েছে। ফলে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতেও সময় লাগবে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। সেজন্য আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে। এ জন্য বাজার ঊর্ধ্বমুখী দুই মাস ধরে।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এ ছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১১৫, তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসেবে গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দর ২৭ শতাংশ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দর ৫ শতাংশ বেড়েছে।