
|| নিউজ ডেস্ক ||
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন হতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
দলগুলোর দাবির মুখে ইসি পুনর্গঠন হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে ইসি পুনর্গঠনের সেই বার্তা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই বার্তা পেয়ে সিইসি গতকাল অফিস করেননি। তবে ইসি সচিব বলেছেন, তিনি চিকিৎসাধীন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠক হওয়ার পরে অনেকের ধারণা ছিল গতকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হবে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আলোচনা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি সিইসি নির্বাচন ভবনেও আসেননি। যদিও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার অফিসেই ছিলেন।
ইসির কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে দিনভর কৌতূহল ছিল কেন সিইসি অফিসে এলেন না। অনেকেই মনে করছেন এটা হলো ‘পলিটিকো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিকনেস’।
সিইসির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বিকালে জানান, সিইসি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। সিইসির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের সবার প্রত্যাশা সিইসি দ্রুত সুস্থ হয়ে অফিসে আসবেন।
গত বছরের ২১ নভেম্বর সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাছউদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সার্চ কমিটির প্রস্তাব করা নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি এই পাঁচজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বেছে নেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত বছরের ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাদের নাম প্রকাশ করে। পরে ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নেন।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দিন এক সময় ছিলেন সচিব। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি তাকে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল। পরে তাকে দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।