
|| মোঃ রফিকুল ইসলাম নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় চরাঞ্চলের নারীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের সাথে মতবিনিময় ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “চরাঞ্চলের নারীদের আত্মকর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেলাই মেশিন বিতরণের মাধ্যমে নারীরা নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং পরিবারেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হবে। নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, নিজেদের ইচ্ছাশক্তিকে জাগ্রত করে এগিয়ে যেতে হবে নিজের, সংসারের, সমাজের, তথা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে। তিনি জানান, সরকার নারীদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেজওয়ানুর রহমান এবং কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজকের এই সেলাই মেশিন বিতরণ কর্মসূচিও তারই অংশ।”
সভাপতির বক্তব্যে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, “নারীদের আর্থিকভাবে সক্ষম করে তুললে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সহজতর হবে। আমরা চাই চরাঞ্চলের নারীরা শুধু গৃহিণী নয়, উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক। আজকের এই উদ্যোগ সেই লক্ষ্য পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহমুদুল হাসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি), নাগেশ্বরী।
অনুষ্ঠানে নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। নারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই সেলাই মেশিন পেয়ে তারা এখন স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং নিজেদের ও পরিবারের জন্য নতুন করে জীবন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।