
|| মোঃ রফিকুল ইসলাম | নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||
উজান থেকে নেমে আসা পাহারী ঢলে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী নদ নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।সেই সাথে দুধকুমার নদী দিয়ে ভেসে আসা শালকাঠসহ বিভন্ন বড়ো মোটা চিকন পাহারী গাছের গুড়ী ও আসবাবপত্র বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করতে নদীর তীরবর্তী মানুষের ভীর।
অন্যদিকে ভেশে আসা গাছের গুড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বেরুবাড়ী খেলার ভিটা এলাকার দুই সন্তানের জনক ধান ব্যবসায়ী মনচুর আলী। তাকে খুঁজতে নাগেশ্বরী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবারু দল দীর্ঘ সময় দুধকুমার নদীর খেলার ভিটা এলাকায় চেষ্টা করে নদীতে প্রচুর শ্রোত থাকায় তারা ব্যার্থ হয়েছে।
জানা যায়, দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে ভারতের পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা ভুরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের কালজানি ও দুধকুমার নদি দিয়ে হাজার হাজার শাল গাছসহ বিভিন্ন জাতের পাহাড়ি গাছের গুড়ী, আসবাবপত্র এবং ভয়াংকট সাপ পোকা মাকর ভেসে আসছে। অত্র এলাকায় হাজারো উৎসুখ মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
কাঠ ও আসবাবপত্র সংগ্রহ করতে ছুটে আসছে হাজারো মানুষ। দুইদিন থেকে দিনে রাতে উজান থেকে ভেসে আসছে এসব শাল কাঠসহ বিভিন্ন প্রজাতের গাছপালা, পাশাপাশি ঘরবাড়ীর আসবাবপত্র। বিশেষ করে বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী, শীলখুড়ী, নুনখাওয়া, বল্লভেরখাস ইউনিয়ন সংলগ্ন দুধকুমার নদের পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া গাছের গুড়ী ও আসবাবপত্র সংগ্রহ করছে বলে জানান অত্র এলাকার মানুষজন।