শনিবার, মার্চ ১৫

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

|| নিউজ ডেস্ক ||

বহুল আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম এই তথ্য জানিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যও আসামি ছিলেন। কিন্তু পরে তাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। এমনকি সাক্ষ্য দিতে আসা বিদেশি সাক্ষীরাও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি। ৩৯ জন সাক্ষীর একজনও তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেননি।’

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য এই তারিখ ঠিক করেন। অভিযোগ গঠনের পর মামলার ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তাতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন-সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে তিনজন পলাতক।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *