
|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||
মুসলিম জাতির অধঃপতন, বিপর্যয় এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ অনৈক্য, পরস্পর দলাদলি ও বিভক্তি। এ সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “আর তাদের মতো হয়ো না যারা বিভক্ত হয়েছিল আর মতভেদ করেছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী আসার পরেও। আর এদেরই জন্য আছে কঠোর শাস্তি (৩: ১০৫)।
“আল্লাহতো ভালোবাসেন তাদেরকে যারা তার পথে এভাবে সারিবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে যেন তারা সীসাঢালা প্রাচীর”। সূরা সাফ-৪
বস্তুতঃ ঐক্য ফরজ, বিভক্তি হারাম।
আল্লাহ বলেন, আল্লাহর দ্বীন কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। সূরা আশশুরা -১৩।
আয়াতে ‘কায়েম কর’ অনুজ্ঞা, আর ‘বিভক্ত হয়ো না’ নিষেধাজ্ঞা। আর কুরআনের অনুজ্ঞা দ্বারা ফরজ, নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়- এই সূত্রানুসারে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ফরজ, আর বিভক্ত হওয়া- বিচ্ছিন্ন হওয়া হারাম।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম র. বলেন, এখানে দ্বীন মানে -দ্বীন ইসলাম। আর আর’ বিচ্ছিন্ন হয়োনা’ অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম কায়েম সংক্রান্ত আল্লাহ তায়ালার এই আদেশ সম্পর্কে তোমরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করো না বা খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে যেওনা। বরং সবাই মিলিত হয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করার জন্য চেষ্টা করো।
বস্তুতঃ এটা একটা ফরজ কাজ, যা পবিত্র কুরআন থেকে প্রমাণিত। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার তৌফিক দিন।
লেখক: ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক ও চিকিৎসক (খুলনা)।