বুধবার, মার্চ ১২

ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে গোলাগুলি, দুই সেনাসহ নিহত ১৪

|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||

ভারতের ছত্তিশগড়ে আবারও মাওবাদী দমন অভিযানে নামল যৌথ বাহিনী। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, বিজাপুর জেলায় গোলাগুলির ঘটনায় ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন।

তবে পাল্টা হামলায় দু’জন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই। সপ্তাহ খানেক আগেই এই বিজাপুরেই যৌথ বাহিনীর ‘এনকাউন্টারে’ ৮ মাওবাদীর নিহত হয়েছিল।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর মেলে। তারপরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যেরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলিতে ১২ জন মাওবাদী নিহত হন।

গত কয়েক বছরে ভারত থেকে মাওবাদীদের হটাতে বার বার তৎপর হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরেও বার বার তিনি দাবি করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের অন্তিম দিন হতে চলেছে।

তার আগেই দেশ থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করতেও উৎসাহ দিয়েছে রাষ্ট্র। ধরা দেওয়া মাওবাদীদের চাকরির সংস্থান, স্বাস্থ্যসহ যাবতীয় দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে- এমন প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নতুন নীতিতে মাওবাদীদের নির্মূলের পথে ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে সরকার। গত বছরে সরকারি হিসাবে ২০৭ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশন জুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।

বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান।

পাশাপাশি, মাওবাদী গেরিলাদের মূল স্রোতে শামিল হওয়ার জন্য চলছে ধারাবাহিক প্রচার অভিযান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তার স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদী নেতানেত্রীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *