বুধবার, ডিসেম্বর ৩

চ্যাটজিপিটি এবং এআই (AI) এ যে সকল তথ্য দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ

|| মোহাম্মদ রাজিবুল হাসান | নিজস্ব প্রতিনিধি ||

আমাদের চিন্তা শক্তি এবং সৃষ্টিশীলতা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট যা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কিছু জানতে ইচ্ছে হলেই কোনো রকম মাথা না খাটিয়ে সোজা চলে যাই চ‍্যাটজিপিটি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবটে।

এটি তথ্য জানার জন্য সহজ হলেও কিছু বিষয়ে পড়তে পারেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকিতে। এ বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করতে দেখা গেছে।

এখানে কিছু লেখার মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধানসহ একাকিত্বে আলাপ এবং প্রতিদিনের নানা কাজে মানুষের জন্য সহায়ক হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলো মানুষের মতো সাবলীলভাবে উত্তর দেওয়ায় অনেকেই এগুলোকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন।

এর ভালো-মন্দ দুটি দিক থাকলেও ঝুঁকি এড়াতে এর ব‍্যবহার সীমিত রাখাই শ্রেয়। কারণ চ্যাটবটে আপনার দেওয়া তথ্য পুরোপুরি গোপন ও সংরক্ষিত থাকে না। যা ভবিষ্যতে ফাঁসও হয়ে যেতে পারে।

তাই ব্যক্তিগত নিরাপত্তার তাগিদে আপনার সংবেদনশীল তথ্য এআই চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো।

প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলের গোপনীয় তথ্য:
অফিসের গোপন নথি, কৌশল বা অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য পেস্ট করলে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

আর্থিক তথ্য:
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের তথ্য, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর ইত্যাদি সাইবার অপরাধীরা অপব্যবহার করতে পারে।

ব্যক্তিগত তথ্য:
আপনার পুরো নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ই-মেইল বা পরিচয় শনাক্তকারী তথ্য যেমন ভোটার আইডি, পাসপোর্ট বা অফিসিয়াল আইডি কার্ড ইত্যাদি চ্যাটবটে দিলে প্রতারণা বা ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য:
চিকিৎসার ইতিহাস (পর্বের বা বর্তমান), প্রেসক্রিপশন বা বিমার তথ্য শেয়ার করলে তা গোপনীয়তার ঝুঁকিতে পড়ে এবং ভুল পরামর্শ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ব্যক্তিগত গোপন কথা বা স্বীকারোক্তি:
মনে রাখতে হবে চ্যাটবট কোনো বন্ধু বা থেরাপিস্ট নয়। আপনার যে গোপন কথাগুলো সেখানে সংরক্ষিত থাকে, তা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো না কোনো সময় ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

অবৈধ বা আপত্তিকর বিষয়:
কোন অবৈধ বা আপত্তিকর বিষয়ে তথ্য দিলে তা রেকর্ড হয়ে অ্যাকাউন্ট বন্ধসহ আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

পাসওয়ার্ড:
কখনোই কোনো ধরণের পাসওয়ার্ড চ‍্যাটবটে শেয়ার করবেন না যেমন ফেসবুক, টুইটার বা ই-মেইল। এতে আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আইনি জটিলতা বা মামলা বিষয়ক তথ্য:
চুক্তি বা মামলা-মোকদ্দমা সংক্রান্ত যে কোনো প্রকার তথ্য শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। চ্যাটবট কখনোই আইনজীবীর বিকল্প হতে পারে না।

নিজের সংবেদনশীল ছবি বা নথি:
বিভিন্ন লাইসেন্স, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ছবি আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো পরিচয় চুরির সরাসরি ঝুঁকি তৈরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *