চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১১১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার বরাতে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দ্য ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার। এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর থেকে ১০২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯, যদিও শুরুতে ৬ মাত্রার কথা বলা হয়েছিল। তবে সিনহুয়া বলছে, এ মাত্রা ছিল ৬.২। ভূমিকম্পের পর কয়েকবার পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। হতাহতের পাশাপাশি সেখানের ভবনগুলো ভেঙে পড়েছে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কিছু গ্রামে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোর ছাদ ও ধ্বংসাবশেষ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জরুরি উদ্ধারকাজ।উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন। স্থানীয় কর্মীদের সহায়তা করার জন্য চীনা সরকার উদ্ধারকর্মীদের দল পাঠিয়েছে।
ভূমিকম্পের পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গানসুতে পূর্ণ উদ্ধারকাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উদ্ধার কার্যক্রম, আহত ব্যক্তিদের সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া এবং হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে সব ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।
চীনে এই ধরনের ভূমিকম্প স্বাভাবিক ঘটনা। চলতি বছরের আগস্টে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে কেউ নিহত না হলেও ২৩ জন আহত হয়। ধসে পড়ে বেশ কিছু ভবন।
সবশেষ সেপ্টেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে সিচুয়ান প্রদেশ ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।